পদ্ম শিবিরের অন্দরে জয়ী কংগ্রেস! মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা, কী করবে বিজেপি?
দেশজুড়ে করোনা লকডাউন জারি করার আগেই আমূল পরিবর্তন হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে। কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক ও সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হাত শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ২২ জন বিধায়ক। এর জেরে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথকে সরিয়ে মসনদে বসেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান।
কাদের সমর্থনে মসনদ দখল বিজেপির?
কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়কের ইস্তফার পর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে শিবরাজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০৪ বিধায়কের সমর্থন। সেই সংখ্যা বিজেপির কাছেই ছিল। তবে যেভাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করা সপা ও বিএসপি বিজেপিকে সমর্থন করতে এগিয়ে এ তা উল্লেখযোগ্য় বলে মনে করা হচ্ছে।
বিদ্রোহী বিধায়কদেরই টিকিট দেবে বিজেপি
এবার বিজেপির তরফে ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হল যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিধায়কদেরই উপনির্বাচনের জন্য টিকিট দেওয়া হবে বিজেপির তরফে। এই ঘোষণা করেন স্বয়ং মধ্যপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি সিং। যারপর বিজেপির অন্দরের কোন্দল আরও বেশি করে সামনে এসি পড়েছে।
শিবরাজের মাথাব্যথার কারণ
শিবরাজের মাথাব্যথার কারণ, এই সব বিজেপিকে সমর্থনকারী ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভা সমপ্রসারণ করতে গেলে তাঁকে সেই সব বিজেপি নেতাদের মন ক্ষুন্ন করতে হবে যারা এদের বিরুদ্ধে হেরেছিলেন।
কী প্রশ্ন উঠে আসছে?
তাছাড়াও আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, এই হেরে যাওয়া বিজেপি বিধায়কদের তবে দলের মধ্যে ভবিষ্যৎ কী? পরবর্তী নির্বাচনে কি তাদের আদৌ টিকিট দেওয়া হবে বিজেপির তরফে। এই সব প্রশ্নে জেরবার শিবরাজ এখন উভয় সংকটে পড়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা
ইতিমধ্যেই বিজেপির সেই হেরে যাওয়া নেতারা সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মধ্যপ্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কৈলাস যোশীর ছেলে দীপক যোশী। তিনি স্পষঅট বলেন, 'দলকে ভাবতে হবে যে আমার রৈজনিতিক কেরিয়ার নিয়ে তারা কী ভাবছে। নয়ত আমার সব দিকেই রাস্তা খোলা।' প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে জিতে শিবরাজের ক্যাবিনেটে মন্ত্রী ছিলেন দীপক।
কংগ্রেসের চাল
এদিকে কংগ্রেস এই ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে। এই ২২টি আসন ছাড়াও আরও কয়েকটি আসনে উপনির্বাচন হবে মধ্যপ্রদেশে। অবশ্যই কোভিডের প্রকোপ থামলে সেটি হবে। তবে কংগ্রেস ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। অনেক বিজেপি নেতাকেই তারা টিকিট দিতে চেয়েছে। যদিও কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করার বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি কেউ। তবে এই সব খবরে এখন অস্বস্তি বেড়েছে শিবরাজের।
আম্ফানের বিভীষিকা ফুটে উঠল নাসা-র ছবিতে! কোন পথে এগোচ্ছে সুপার সাইক্লোন?