এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়লেন খোদ বিধায়ক
অসমের চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়ল বিরোধী দলের বিধায়কের নাম। যে ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছে তার মধ্যে রয়েছেন তিনিও।
অসমের চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়ল বিরোধী দলের বিধায়কের নাম। যে ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছে তার মধ্যে রয়েছেন তিনিও। অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক অনন্ত কুমার মালোর নাম বাদ বড়েছে তালিকা থেকে।
নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ বাসিন্দাদের নাম। তাঁরা আবার নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও অভিযোগ জানাতে পারেন তাঁরা। যদিও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন সীমান্তবর্তী জেলা গুলির বাসিন্দাদের নথি পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। তাঁর অভিযোগ অনেকেই তথ্য কারচুপি করে এনআরসিতে নাম তুলেছেন।
এতোদিন সমাজকর্মী, সেনাকর্মীদের নাম বাদ পড়ছিল। এবার নাম বাদ পড়ল জনপ্রতিনিধিরও। আর এতেই বেজায় চটেছেন অসমের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অভিযোগ করেছেন ত্রুিট পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একাধিক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে তালিকায়। সে জায়গায় যাঁরা প্রকৃতভাবে সেখানকার বাসিন্দা তাঁরা তালিকায় জায়গা পাননি। ক্ষোভ উগরে দিয়েছে অসমের ছাত্র সংগঠন আসু-ও।
বিরোধীদের সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন অনেক বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর নাম ঢুকে পড়েছে তালিকায়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বাসিন্দাদের নথি পুনরায় খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে তিনি আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
অসমের নাগরিক পঞ্জি প্রকাশের পর গেরুয়া শিবির দেশের অন্যন্যা রাজ্যেও এই তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে। মুম্বই এবং দিল্লিতেও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা জরুরি বলে দাবি করেছে বিজেপির শরিক দলগুলি।