ভারতে ফের শরণার্থীর বোঝা! বাংলাদেশে সামরিক অভিযানে সীমান্ত পেরিয়ে নারী-শিশুদের আশ্রয় মিজোরামে
বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে শরণার্থীর আগমন মিজোরামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নারী-শিশু-সহ ৩০০-র বেশি কুকি-চিন শরণার্থী মিজোরাম-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেন বলে জানা গিয়েছে। মিজোরামের লংটলাই জেলার বনডুকবাংস
বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে শরণার্থীর আগমন মিজোরামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নারী-শিশু-সহ ৩০০-র বেশি কুকি-চিন শরণার্থী মিজোরাম-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেন বলে জানা গিয়েছে। মিজোরামের লংটলাই জেলার বনডুকবাংসোরা গ্রামে এইসব শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক অভিযানের পরে তারা চেহখিয়াং এবং আশপাশের গ্রাম থেকে পালিয়ে যান।
আগে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের আগমন
বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীরা সবে আসতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে শরণার্থীর বোঝা ঠিক কতটা বাড়বে, তা সামনের দিলগুলিতে জানা যাবে। তবে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিশেষ করে মিজোরামে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্য সরকারের তরফে এঁদেরকে অস্থায়ী পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের মানবিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী কারণে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীর আগমন
চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকায় আরাকান আর্মি বিদ্রোহী এবং বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র্যাব বুধবার যুগ্মভাবে অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। এর জেরে সেখানকার কুকি-চিন সম্প্রদায়ের লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে মিজোরামে আশ্রয় নেন। অন্যদিকে জঙ্গিরা কমপক্ষে নয় গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ২০০৯ থেকে মিয়ানমারের আরাকানের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে আরাকান আর্মি বিদ্রোহীরা।
শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে
সবে ৩০০ লোক মিজোরামে আশ্রয় নিলেও অচিরেই সংখ্যাটা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে গোপন চুক্তি
যদিও ঘটনাটির পিছনে অন্য ঘটনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে জোরো সংগঠনের তরফে। জো রিইউনিফিকেশন অর্গানাইজেশনের অফিস রয়েছে আইজলে। তারা অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের র্যাব এবং ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সের ইনটেলিজেন্স আরাকান আর্মি বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে। তারপরেই সেখানকার কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এই কুচি চিন ন্যাশনাল আর্মির রাজনৈতিক শাখা হল কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকায় এই সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় আলাদা রাজ্যের দাবিতে কুকি-চিন-মিজোদের নিয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল।
হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপত্তার আরেকটি ধাপ! নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলছে কাজ