অসম- মিজোরাম সীমান্ত সমস্যা চরমে, হিমন্ত বিশ্বশর্মা ছাড়াও ছয় অধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর
অসমের (assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (himanta biswa sharma) বিরুদ্ধে খুনে অভিযোগ এক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করল মিজোরাম পুলিশ। ২৬ জুলাই সীমান্ত সংঘর্ষে অসমের সাত পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প
অসমের (assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (himanta biswa sharma) বিরুদ্ধে খুনে অভিযোগ এক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করল মিজোরাম পুলিশ। ২৬ জুলাই সীমান্ত সংঘর্ষে অসমের সাত পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পরাধীন ভারতেই অসম এবং মেঘালয়ের নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে জেদাজেদির আবহ তৈরি হয়ে রয়েছে।
মামলা দায়ের মুখ্যমন্ত্রী, আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে
মিজোরাম পুলিশের করা এফআইআর-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও , পুলিশের চার উচ্চপদস্থ আধিকারিক, দুই আমলা এবং অসম পুলিশের ২০০ জন কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মিজোরামের এক পুলিশ ইনস্পেক্টর ২৬ জুলাই এই এফআইআর দায়ের করেছেন। বলা হয়েছে, ভারতী দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে অস্ত্র মামলা। এছাড়াও মিজোরামের কন্টেইনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ কোভিড ১৯ (২০২০)-এর ধারাও দেওয়া হয়েছে।
মিজোরাম পুলিশের অভিযোগ
মিজোরাম পুলিশের তরফে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, অসম পুলিশের অন্তত ২০০ জন অস্ত্রধারী কর্মী আইজিপির নেতৃত্বে ২০ অফিসার-সহ মিজোরামের পুলিশ ক্যাম্প দখল করতে যায়। তারা অভিযোগ করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে রাখা হয়েছে।
মিজোরাম পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই সময় সেখানে সংখ্যায় কম ছিল মিজোরাম পুলিশ। যদিও অসম পুলিশের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। এই খবর পাওয়া মাত্র কোলাশিবের পুলিশসুপার এবং অন্য পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশ কর্মীদের একটা দল সেখানে যায়। সেখানে অসম পুলিশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অসম পুলিশ এতটাই হিংস্র ছিল যে তারা কোনও কথা শুনতে রাজি হয়নি। বরং পুলিশ সুপার কোলাশিবকে বলে জায়গাটি অসমের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও তারা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে একটি ক্যাম্প তৈরির চেষ্টা করে বলে এফআইআর-এ অভিযোগ করেছে মিজোরাম পুলিশ। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অসম পুলিশের দলটি তাবু নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের সঙ্গে অন্য যন্ত্রপাতি-সহ কুড়িটি গাড়ি ছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল মিজোরামের বর্ডার আউটপোস্ট দখল করে একটি ক্যাম্প তৈরি করা।
অসমই প্রথম গুলি চালিয়েছে
সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাংঙ্গা জানিয়েছেন অসম পুলিশই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথম গুলি চালায়, তারা প্রথমে গুলি চালাননি। তিনি বিষয়টি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। তারা বিষয়টিন শান্তিপূর্ণ সমাধান চান বলে জানিয়েছেন। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের কথাও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সীমান্ত নিয়ে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে দেশের দুই অঙ্গরাজ্য। এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক এসপি-সহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। পুরো ঘটনাটি অসম এবং মিজোরাম পুলিশের মধ্যে গুলি চালনার ফলে হয়েছে।
সীমান্ত এখন নো ফ্লাইং জোন
এদিকে অসমের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে মিজোরামের কোলাশিব জেলা প্রশাসন বিতর্কিত এলাকাকে ড্রোনের জন্য নো ফ্লাইং জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় যেসব জায়গাকে রাখা হয়েছে তার মধ্যে রয়েথে ভীরেঙ্গট এবং অ্যাটলাংও। শুক্রবার দেওয়া আদেশে কোলাশিব জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেনাকেও জেলা প্রশাসনের কাথে ড্রোন ওড়ানোর জন্য অনুমতি নিতে হবে।
ইতিমধ্যেই ছয় কোম্পানি সিআরপিএফ সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রীয় বাহিনী দুই রাজ্যের মধ্যে থাকা ৩৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে টহল দিতে শুরু করেছে।
নোটিশ দিয়েছে অসম পুলিশও
এদিনে
অসম
পুলিশের
তরফেও
মিজোরামের
আধিকারিকদের
নোটিশ
দেওয়া
হয়েছে।
পাশাপাশি
তদন্তে
সাহায্য
করার
জন্যও
বলা
হয়েছে
অসম
পুলিশের
তরফ
থেকে।
অসমের
কাছার
পুলিশের
তরফ
থেকে
মিজোরাম
পুলিশের
ছয়জনের
নাম
উল্লেখ
করে
চিঠি
দেওয়া
হয়েছে।
তালিকায়
যাঁদের
নাম
উল্লেখ
করা
হয়েছে,
তাঁদের
মধ্যে
রয়েছেন
ডিসিপি,
এসপি,
ডিএসপি,
কোলাশিবের
অতিরিক্ত
পুলিশ
সুপার,
এসডিও
এবং
ভীরেঙ্গটের
এসডিও।
২
অগাস্ট
ওইসব
আধিকারিকদের
কাছারে
যেতে
বলা
হয়েছে।
এছাড়াও
মিজোরামের
সাংসদকে
অসমের
কাছারের
ধোলাই
থানায়
১
অগাস্ট
বেলা
১১
টার
সময়
হাজিরা
দিতে
বলা
হয়েছে।
মিজোরাম
সরকারের
তরফ
থেকে
অসম
সরকারের
প্রতিবেশী
রাজ্যগুলি
থেকে
যাওয়া
সব
গাড়ি
পরীক্ষা
করার
যে
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছে,
তার
সমালোচনা
করা
হয়েছে।
Daily News Update: মানিকতলায় ভ্যাকসিন নিয়ে ধুন্ধুমার