বাঙালি মুসলিমদের মূল রয়েছে কোথায়? তথ্য খোঁজার অভিযোগে মিয়া মিউজিয়াম ধ্বংস করে দিল অসম পুলিশ
Array
অসমের গোয়ালপাড়া জেলা মিয়া কমিউনিটিকে উৎসর্গ করা একটি মিউজিয়ামকে সিল করে দিল। ওই অঞ্চলের ভুল ব্যাবহারের জন্য ওই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কাদের আটক করা হয়েছে?
ওই কমিউনিটি দুই প্রধান এবং যারা ওই মিউজিয়াম তৈরি করেছিল তাদেরকে আটক করা হয়েছে। বেআইনি কাজের জন্য কোনও স্থান ব্যাবহারের আইনে এবং ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং কেন্দ্রীয় স্রকারে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার চিন্তা ভাবনা নিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করার আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কী বলেছে পুলিশ?
জিপি সিং যিনি অসম পুলিশের স্পেস্যাল ডিরেক্টর, তিনি বলেছেন যে, দুই নেতাকে তাঁদের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। তাদের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা দল এবং ভারতের আল কায়েদা শাখার কী যোগ রয়েছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গ্রেফতার এবং ধ্বংস
অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছে বহু ব্যক্তিকে এবং ধ্বংস করে দিয়েছে তিনটি মাদ্রাসা এই তল্লাশির অংশ হিসাবে। অসম ভারতীয় জনতা পার্টি দাবি করেছে যে, মিয়া মিউজিয়াম যা গোয়ালপাড়ার লাখিপুর অঞ্চলের দপকরভিটায় অবস্থিত সেটিকে পুরো ধ্বংস করে দেবার আবেদন জানানো হয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবার আর্জি জানিয়েছেন।
মিয়া পরিষদ
এটি
তৈরি
করেছিল
অসম
মিয়া
পরিষদের,
মহর
আলি।
উদ্বোধন
হয়েছিল
২৩
অক্টোবর।
বলা
হয়েছিল
এটি
মিয়া
কমিউনিটির
নিয়ে
গবেষণা
করছে।
তারা
খুঁজবে
বাংলার
মুসলিমদের
মূল
কোথায়
তা
নিয়ে।
এরা
১৮৯০
সাল
থেকে
অসমে
রয়েছে।
এদের
ব্রিটিশরা
চাষ
আবাদের
জন্য
এই
দেশে
নিয়ে
এসেছিল।
এদিকে আলির দুই পুত্র ওই মিউজিয়ামের সিল খুলে দেবার দাবি জানিয়ে বসেছে প্রতিবাদে। উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য। আসামের অধিবাসী বা আসামের ভাষাকে অসমীয়া নামে আখ্যায়িত করা হয়। তবে আসামের এক-তৃতীয়াংশ অধিবাসী বাঙালী। ব্রিটিশ শাসনকালে বিশেষ করে ১৮৫০ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক শ্রমিক এনেছিলেন চা বাগানে জন্য। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্য ওড়িশা, বিহার (বর্তমানে ঝাড়খণ্ডসহ)।
১৮২৬ সালে ইয়াণ্ডাবু চুক্তির মাধ্যমে আসাম প্রথম ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এ প্রদেশ মূলত চা, রেশম, পেট্রোলিয়াম এবং জীববৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত।