ভারতে কি দ্রুত চালু হচ্ছে মিশ্র টিকাদান? দেশজোড়া উদ্বেগের মধ্যে সংসদে কি বলল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
ভারতে কি দ্রুত চালু হচ্ছে মিশ্র টিকাদান কর্মসূচি?
করোনা রুখতে ইতিমধ্যেই মিশ্র টিকার উপর জোর দিচ্ছ একাধিক দেশ। ট্রায়াল পর্বও শুরু হয়েছে একাধিক দেশে। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল একই পথে হাঁটতে পারে ভারতও। এমনকী এই বিষয় নিয়ে চলছিল জোরদার গবেষণাও। আর তাতে দেখা গিয়েছিল এভাবে মিশিয়ে টিকা দিলে খুব বেশি ক্ষতির আশঙ্কা নেই সাধারণ মানুষের। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকটাই বেশি হলেও তা কয়েকদিনে কমেও যাবে। যদিও এই বর্তমানে সরকারের তরফে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
সুপারিশ আসেনি সরকারের তরফেও
মঙ্গলবার সরকার সংসদে জানিয়েছে যে, করোনা-বিরোধী ভ্যাকসিন মেশানোর ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে কোনও সুপারিশ করা হয়নি। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী পারভিন রাজ্যসভায় একটি লিখিত জবাবে জানান, "কোভিড-১৯-র ভ্যাকসিনগুলি সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে। অতএব, বিভিন্ন ভ্যাকসিনের মিশ্রণ এবং মিশিয়ে প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে। তাই এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।"
সুপারিশ করেনি কোভিড বিশেষজ্ঞ গ্রুপও
পাশাপাশি তিনি এও জানান, টিকাদান সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপ বা জন্য ভ্যাকসিনের জন্য কোভিড-১৯-র জাতীয় বিশেষজ্ঞ গ্রুপের তরফেও এখনও মিশ্র টিকার ব্যাপারে কোনও সুপারিশই করা হয়নি। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে এই বিষয়ে গবেষণা চালানো হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলেও এদিন সংসদে জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও স্পুটনিকের টিকার মিশ্রণ ঘটিয়ে চলে সমীক্ষা
এদিকে কিছুদিন আগেই আজারবাইজানের গবেষকরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও স্পুটনিকের টিকার মিশ্রণ ঘটিয়ে একটি সমীক্ষা চালান। আর তাতেই উঠে এসেছে চমকপ্রদ ফলাফল। টিকাগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে কোনওরকম গুরুতর পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জোরালো দাবি করেছেন গবেষকরা। অন্যদিকে সদ্য আবার করোনাভাইরাসের টিকাদান নীতিতে পরিবর্তন এনেছে থাইল্যান্ড।
বড় সিদ্ধান্ত থাইল্যান্ডের
সূত্রের খবর, থাইল্যান্ডে করোনা প্রতিরোধে এখন থেকে চিনের সিনোভ্যাকের সাথে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে। বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসাবে এই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড। সেখানে এখন থেকে একটি সিনোভেকের টিকা ডোজের পর সাধারণ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ডোজ পাবেন বলে জানা যাচ্ছে।