ফিরে দেখা ভারতীয় সেনা অফিসার মিতালী মধুমিতার বীরত্বের কাহিনি
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতের নানা প্রান্তের এমন কিছু মানুষের কাহিনি 'বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া নিউজ' তুলে ধরেছে যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজসেবা তথা দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতের নানা প্রান্তের এমন কিছু মানুষের কাহিনি 'বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া নিউজ' তুলে ধরেছে যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজসেবা তথা দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। কেউ সমাজ শিক্ষায় আবার কেউ বুভুক্ষুকে দু'বেলা অন্ন দিয়ে, একাই লড়ে গিয়ে 'সহায়' হয়ে উঠেছেন বহু মানুষের। কেউ বা নিজের সাহসিকতায় দেশকে গর্বিত করেছেন। এমনই একজন ভারতীয় মিতালী মধুমিতা।
[আরও পড়ুন:মাত্র ১৩ বছর বয়সে ডাকাত ধরে বীরতা পুরস্কারে সম্মানিত গুজরাতের মিত্তল]
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় সেনার লেফ্টনান্ট কর্নেল মিতালীকে সম্মানীয় গ্যালান্ট্রি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর তথা উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ভারতীয় সেনার হয়ে তাঁর বীরত্বের কাহিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন মিতালী। যে সার্ভিসে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত একজন অফিসার কাজ করতে পারেন। তবে, এরপর তাঁকে পার্মানেন্ট কমিশনের আওতায় দেশ সেবার জন্য আবেদন করলেও তিনি ব্যক্তিগত কারণে তা গ্রহণ করেননি।
[আরও পড়ুন:নবতিপর 'ডক্টর দাদি' সাত দশক ধরে মানুষের সেবায় ব্রতী]
২০১০ সালের কাবুল দূতাবাসে জঙ্গি হামলার সময়ে সেখানে ভারতীয় সেনার তরফে উপস্থিত ছিলেন মিতালী। তাঁর সাহসীকতার জন্য তাঁকে সম্মান জানায় এদেশ। সেসময়ে রাষ্ট্র সংঘের এক মিশনের অংশ হিসাবে কাবুলে বেশ কিছু সময় ছিলেন মিতালী। ভারতের প্রথম মহিলা সেনা অভিসার জিনি গ্যালান্ট্রি পুরস্কারে ভূষিত, সেই মিতালীর কাহিনি দেশের আরও অনেক মেয়েদের স্বপ্ন দেখাবে যাঁরা ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার দশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।