ফের অপব্যবহার ১০০ ডায়ালের, পুলিশকে ডেকে বিয়ার এনে দেওয়ার আবদার যুবকের
ফের অপব্যবহার ১০০ ডায়ালের, পুলিশকে ডেকে বিয়ার এনে দেওয়ার আবদার যুবকের
পুলিশের ১০০ নম্বরটি তখনই ব্যবহার করা হয় যখন কেউ কোনও বিপদে পড়ে। কিন্তু ইদানিং এই নম্বরটির অপব্যবহার খুব বেশি পরিমাণে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেমনটা ঘটল তেলঙ্গানায়। এখানকার এক যুবক দু’বোতল বিয়ার অর্ডার করার জন্য রাতে ১০০ নম্বরে ফোন করে নিজের বিপদ ডেকে আনে।
উদ্ভট এই ঘটনাটি ঘটেছে বিকারাবাদ জেলায়, দৌলতাবাদ পুলিশ থানার অন্তর্গত। গোকা ফসলাবাদ গ্রামের এক যুবক ১০০ নম্বরে পুলিশে ফোন করে জানায় যে সে বিপদে আছে। এরপর যখন পুলিশ সাত কিলোমিটার দূরের সেই গ্রামে পৌঁছায়, তখন তাঁরা হতচকিত হয়ে যায় যে যুবক তাঁদের বিয়ার এনে দেওয়ার জন্য ডেকেছে। ২২ বছরের ওই যুবক বিয়েতে গিয়েছিল এবং সে তখন মদ্যপ অবস্থায়ছিল। জে মধু নামে ওই যুবক পুলিশকে জানায় যে তার কাছে থাকা মদ এবং বিয়ার সে খেয়েছিল। এরপর সে আরও বলে যে সব মদের দোকান বন্ধ থাকার কারণে সে পুলিশের সহায়তা চেয়েছে। এমনকী ওই যুবক পুলিশের সঙ্গে তর্ক করতে থাকে এই বলে যে মানুষের দরকার হলে পুলিশ সহায়তা করবে এই বলে।
মধুর ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে পুলিশ কর্মীরা এরপর চলে যান। পরের দিন তার নামে মামলা দায়ের করা হয়। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন জে মধুকে বাবার সঙ্গে পুলিশ থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং তার কাউন্সেলিং করা হবে।
বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আদালতও দ্বিধাবিভক্ত, রায়ে কী জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
এ ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেছে তেলঙ্গানায় দু’মাসের কম সময়ের মধ্যে। এ বছরের মার্চ মাসে নালগোণ্ডা জেলায় ১০০ ডায়ালে ফোন করে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে যে তাঁর স্ত্রী তাঁকে মাংস রান্না করে দেয়নি। হোলির সময় এই উদ্ভট ঘটনা ঘটেছিল। নবীন নামের এক ব্যক্তি রাতের বেলায় ১০০ ডায়ালে ফোন করে ছ’বার এবং তার স্ত্রীর নামে অভিযোগ করে। এরপর পুলিশ কল ট্রেস করে এবং পরেরদিন সকালে নবীনের বাড়ি যায় কিছু পুলিশ কর্মী। এরপর তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। পুলিশ জনগণকে ১০০ ডায়াল সুবিধার অপব্যবহার না করার জন্য আবেদন করেছে কারণ এটি মূল্যবান সময়ের ক্ষতি করে এবং প্রকৃত জরুরী কলগুলিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারে।