মিশন ২০১৯, দিল্লিতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী
আগামী লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা ইতিমধ্যে রণকৌশল সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। সেই কাজে বিজেপিও যে পিছিয়ে নেই তা প্রমাণ করে দিলেন অমিত শাহরা। আগামী লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
মোট ১৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের বড় নেতৃত্ব ও উপমুখ্যমন্ত্রীরাও এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির সরকার বা নেতা-কর্মীরা কীভাবে কাজ করছেন তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেমন কাজ চলছে সেটাও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
[আরও পড়ুন:খাদ্যমন্ত্রীর গড়ে একাধিক পঞ্চায়েতে ফুটল পদ্ম! উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতৃত্ব]
পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়েও বিজেপির রণকৌশল কী হতে চলেছে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। লোকসভা ভোটের আগে এই তিন রাজ্যে বিজেপির ভালো ফল করা অত্যন্ত জরুরি। তিন রাজ্যেই বিজেপির সরকার রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সহ তিন রাজ্যেই বিজেপির আসন টলমল হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে নানা সমীক্ষা রিপোর্টও পেশ হয়েছে। বিশেষ করে রাজস্থানে বিজেপির বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
Prime Minister Narendra Modi, BJP President Amit Shah, Home Minister Rajnath Singh, Finance Minister Arun Jaitley and Chief Ministers of BJP-governed states at party headquarters in Delhi pic.twitter.com/Dp3IUISiHJ
— ANI (@ANI) August 28, 2018
[আরও পড়ুন:সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপির জল্লাদ! পঞ্চায়েতে খুনোখুনির রাজনীতিতে তোপ মমতার]
এই অবস্থায় সুশাসন ও মানুষের জন্য কোন নীতির ব্যবস্থা করলে বিধানসভা ভোটের পর আগামী লোকসভাতেও বিজেপি বাজিমাত করতে পারবে তা নিয়ে এই বৈঠকে তো বটেই পরের বৈঠকগুলিতেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এই বৈঠককে ওয়ার্ম আপ বৈঠক হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এছাড়া রাজ্য স্তরে লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে নানা ক্ষেত্রের জরিপ ইতিমধ্যে বিজেপি নেতৃত্ব শুরু করে দিয়েছে। সেগুলিই আলোচনার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে পথ নির্দেশিকা জারি হবে।