পাশের বাড়িতে এগারো বছর অজ্ঞাতবাসে যুবতী, টের পেল না বাড়ির লোক
পাশের বাড়িতে এগারো বছর অজ্ঞাতবাসে যুবতী, টের পেল না বাড়ির লোক
মহাভারতে
অর্জুনদের
অজ্ঞাতবাস
মনে
আছে?
শকুনির
কাছে
পাশাখেলায়
হেরে
সর্বস্ব
খুইয়ে
১২
বছর
বনবাস
ও
১
বছর
অজ্ঞাতবাসে
গিয়েছিলেন
পান্ডবরা৷
সে
লড়াই
ছিল
জমি-সম্পত্তি
সম্মানের।
কিন্তু
কেরলের
সজিতার
গল্প
হার
মানায়
মহাভারতে
অর্জুনদের
অজ্ঞাতবাসকেও!
এক,
দুই
নয়
পুরো
১১
বছর
ধরে
বাড়ির
আত্মীয়
পরিজনদের
অজান্তে
একটি
রুমে
আত্মগোপন
করে
ছিলেন
কেরলের
পলাক্কড়
জেলার
আইয়ালুর
গ্রামের
সজিতা৷
তাও
আবার
বাড়ি
থেকে
মাত্র
৫০০
মিটার
দূরে
একটি
বাড়িতে৷
তবে
একা
নন
সঙ্গে
ছিলেন
তাঁর
প্রেমিক
আলিঞ্চুভাতিল
রহমান।
সজিতা
কিংবা
রহমান
কারও
বাড়ির
লোকই
টের
পাননি
সজিতার
উপস্থিতি!
২০১০
সালে
স্থানীয়
প্রশাসনে
একটি
মিসিং
ডায়রি
করেছিল
সজিতার
পরিবার৷
তাদের
১৮
বছরের
মেয়ে
হঠাৎই
বাড়ি
থেকে
উধাও
হয়ে
গিয়েছেন
বলে
অভিযোগ
জানান
সজিতার
বাবা-মা।
তারপর
১১
বছর
পেরিয়েছে
মেয়েকে
ফিরে
পাওয়ার
আশা
প্রায়
ছেড়ে
দিয়েছিলেন
সজিতার
বাড়ির
লোক৷
ঠিক
তখনই
এই
সজিতা-রহমানের
বিষয়টি
ঘটনাচক্রে
সামনে
আসে৷
কেন ১১ বছর ধরে বাড়ি ছেড়ে অন্য একটি বাড়িতে এক রুমে নিজেকে আবদ্ধ করেছিলেন সজিতা? উত্তর চমকপ্রদ এবং বনু পুরনো, প্রেম। জানা গিয়েছে প্রেমিকের সঙ্গে ঘরবাঁধার স্বপ্ন নিয়েই এরকম কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সজিতা। ২০১০ সালে এক রাতে পালিয়ে এসে রহমানের বাড়িতে ওঠে সজিতা। সেই থেকে ১১ মাস ওই রুমই স্থায়ী ঠিকানা তার৷
কিন্তু প্রেমের জন্য হলেও কিভাবে কোথাও না বেরিয়ে এক রুমে এতগুলো বছর কাটিয়ে দিলেন সজিতা? কেনই বা তাঁর উপস্থিতি টের পেলেন না রহমানের বাড়ির লোক? এ নিয়ে নানা রকম সন্দেহ রয়েই যায়৷ তবে যেটা জানা গিয়েছে যে রুমে সজিতা থাকতেন সেই রুমটির ধারে কাছেও কাউকে ঘেঁসতে দিতেন না রহমান৷ ১১ বছর ধরেই এই রুমটি বন্ধ করে রাখতেন আলিঞ্চুভাতিল। রহমানের ভাই জানিয়েছে ওই রুমের জানালার কিছু অংশ কাটা রয়েছে সেটা দিয়েই সম্ভবত রাতের বেলা প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বেরোতেন সজিতা৷ ওই রুমে নিজের খবার নিয়ে দু'জনে ভাগ করে খেতেন রহমান৷ রুমে একটি ছোট টিভি ছিল সেটাতে হেডফোন লাগিয় অবসর যাপন করতেন।
সম্প্রতি রহমানের বাড়িতে তার বিয়ের জন্য জোর দেওয়া হয়৷ এরপর তিনমাস আগেএকদিন রহমান ও সজিত উধাও হয়ে যান রুম থেকে। একটু দূরে পাশের গ্রামে দু'জনে থাকছিলেন একসঙ্গে। সেখান থেকেই পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে৷ তারপরই সজিতা-রহমানের প্রেম কাহিনী ও অজ্ঞাতবাসের কথা সামনে আসে৷ ভিন্ন ধর্মের প্রেমের কারণেই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সজিতা-রহমান৷