এই আটটি রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়ার আবেদন
ভারতের আটটি রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করতে আবেদন দাখিল হল সুপ্রিম কোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছেন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়।
ভারতের আটটি রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করতে আবেদন দাখিল হল সুপ্রিম কোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছেন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ এই আটটি রাজ্যে হিন্দুদের মৌলিক অধিকার দেওয়া হয় না।
২০১১-র লোকগণনা অনুযায়ী, ভারতের যে আটটি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেগুলি হল,
কিন্তু এই রাজ্যগুলির সংখ্যালঘুদের অধিকার অনৈতিকভাবে হরণের অভিযোগ করা হয়েছে। কেননা কেন্দ্র কিংবা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার কেউই ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটির সেকশন ২সি-র অধীনে সেই রাজ্যগুলিতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করেনি বলে আবেদনে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০হাজার স্কলারশিপ দেয়। জম্মু ও কাশ্মীরের ৬৮.৩০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। কিন্তু সরকার ৭১৭ টি স্কলারশিপের মধ্যে ৭৫৩টি মুসলিমদের দিয়ে থাকে। কিন্তু হিন্দুদের তা দেওয়া হয়নি। আবেদনে সেই তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।
১৯৯৩ সালে কেন্দ্রের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বুদ্ধিস্ট এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত। ২০১৪ সালে জৈনদের এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আবেদনে বলা হয়েছে,
এসব রাজ্যগুলিতে মুসলিমরা সংখ্যালঘুর তকমা পেলেও, কিন্তু রাজ্যগুলিতে যাঁরা আক্ষরিক অর্থে সংখ্যালগু তাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন না। কেননা রাজ্য পর্যায়ে নির্দিষ্ট সম্প্রদায় সংখ্যালঘু ভুক্ত নয়। সেইজন্য সংবিধানের পার্ট থ্রি-তে যে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গ বলা হয়েছে, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যাবন্ডে খ্রিস্টানরা সংখ্যাগুরু। খানিকটা একই অবস্থা অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, কেরল, মনিপুর, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গেরও। কিন্তু রাজ্যগুলিতে রাদের সংখ্যালঘু হিসেবেই মর্যাদা দেওয়া হয়। একইভাবে পঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায় সংখ্যাগুরু। সেইসঙ্গে একই চিত্র দিল্লি, চণ্ডীগড় এবং হরিয়ানাতেও। কিন্তু সেখানেও তাদের সংখ্যালঘু হিসেবেই গণ্য করা হয়।
এবছরের প্রথমের দিকে আইনজীবী অঙ্কুর শর্মা একই ধরনের একটি আবেদন করেছিলেন। তাদের জম্মু ও কাশ্মীরে মাইনরিটি কমিশন গঠনের আবেদন জানানো হয়েছিল। মার্চে হওয়া শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে বসে বিষয়.য়টি নিয়ে একসঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অগাস্ট মাসের শুনানি জম্মু ও কাশ্মীর সরকার সর্বোচ্চ আদালতে জানায়, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার সময় পায়নি তারা। এতে সর্বোচ্চ আদালত তাদের অপ্রসন্নতা ব্যক্ত করেছে।