সুরতে বালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারকাণ্ডে নয়া মোড়, অপহরণ-ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পুলিশের
কাঠুয়া, উন্নাও-এর পর সুরত। বালিকা থেকে কিশোরীকে ধর্ষণ , গণধর্ষণের মত একের পর এক পৈশাচিক ঘটনার তথ্য চরম প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে দেশের নারী নিরাপত্তাকে।
গুজরাতের সুরতে এক বালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা দোষীরা। উল্লেখ্য, সুরতের পান্দেসারাতে এই বালিকার দেহ উদ্ধারের সময়েই দেখা গিয়েছে , তার গায়ে ৮৬ টি আঘাতের চিহ্ন। আঘাত ছিল ছোট্ট মেয়েটির গোপানাঙ্গেও। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানাচ্ছে, এর নেপথ্যে অপহরণ ও ধর্ষণের তত্ত্ব উঠে আসছে।
[আরও পড়ুন:যক্ষা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ! যা দশা হল স্বাস্থ্য পরিদর্শকের]
কাঠুয়া, উন্নাও-এর পর সুরত। বালিকা থেকে কিশোরীকে ধর্ষণ , গণধর্ষণের মত একের পর এক পৈশাচিক ঘটনার তথ্য চরম প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে দেশের নারী নিরাপত্তাকে। সুরতে উদ্ধার হওয়া বালিকার বয়স আনুমানিক ১১ বছর। রহস্যজনকভাবে এখনও জানা যায়নি মৃত বালিকার পরিচয়, পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে না অভিযুক্তদের খোঁজও। এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ওই বালিকার দেহের আঘাতের চিহ্ন দেখে অনুমান করা হচ্ছে, তাকে ১ সপ্তাহ ধরে 'সম্ভবত' ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বালিকাকে কোথাও অপহরণ করে বা কোনওভাবে ধরে রেখে দিনের পর দিন চলেছে অত্যাচার।
আইনি পথে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বালিকাকে হত্যা, ধর্ষণ, আঘাত করা সহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে। তবে অভিযুক্ত বা মৃতার পরিচয় এখনও জানা না যাওয়ায় বেশ কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। বালিকার পরিচয় সম্পর্কে যে তথ্য দিতে পারবে তাঁকে ২০ হাজার টাকার পুরস্কারও দেওয়ার ঘোষণা করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গুজরাতের না হলেও, বালিকাটি অন্য় কোনও রাজ্যের কি না তা নিয়েও চলছে তদন্ত। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশের জোরালো অনুমান নির্যাতিতা বালিকা ওড়িশা কিংবা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বালিকার দেহ ফেলে দেওয়ার ৬- ২৪ ঘণ্টা আগে তাকে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত এখনও পর্যন্ত সেটাই বলছে।
[আরও পড়ুন: উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের মাশুল, পরিণামে ঘটল মর্মান্তিক কাণ্ড]