একাধিকবার ধর্ষণ, বেসরকারি হাসপাতালে জোর করে কিশোরীর ডিম্বানু বিক্রি, তদন্তে পুলিশ
একাধিকবার ধর্ষণ, বেসরকারি হাসপাতালে জোর করে কিশোরীর ডিম্বানু বিক্রি, তদন্তে পুলিশ
এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার মামলা উদঘাটন করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটিকে তার মায়ের পুরুষ বন্ধু এসে একাধিক সময়ে ধর্ষণ করত এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন হাসপাতালে জোর করে তার অপরিণত ডিম্বানু, ডিম্বানু বিক্রি করানো হত। পুলিশ জানিয়েছে মেয়েটির মা ও তার পুরুষ বন্ধুটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, অন্যান্যদের মধ্যে এক মহিলা মধ্যস্থতাকারী রয়েছে যে এই বিক্রি করার জন্য সহযোগিতা করত এবং একজন ভ্যান চালক, যে মেয়েটিকে ২০ বছরের দেখানোর জন্য কিশোরীকে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল। তিনি বলেন, 'আমরা কিছু নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলিতে তদন্ত করছি এবং চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করছি।'
পুলিশ ও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় এটা জানতে পারা গিয়েছে যে রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ২০১৭ সাল থেকে ওই কিশোরীকে ব্যবহার করা হচ্ছে তার ডিম্বানু বিক্রি করার জন্য। গত চার বছরে কমপক্ষে আটবার ওই কিশোরীকে দিয়ে তার ডিম্বানু বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে। তার মাও এই ডিম্বানু বিক্রির কাজ করে।
এরপর কিশোরীর সঙ্গে তার মা ও তার পুরুষ বন্ধুটির সমস্যা দেখা দেওয়ার পর মেয়েটি পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে মেয়েটি এই পরিস্থিতির বিষয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে যে তাকে গতমাসে বাড়ি ছাড়তে হয়। মেয়েটি সালেমে তার এক বন্ধুর সঙ্গে থাকছিল এবং তার কিছু পরিজনকে তার ওপর হওয়া অত্যাচারের ব্যাপারে জানায়। মেয়েটির আত্মীয়রা পুলিশকে সব জানায়।
রবিবার ডিরেক্টরেট অফ মেডিক্যাল ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্মকর্তারা আক্রান্ত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে তার মা ও তার পুরুষ বন্ধু প্রত্যেক বার কিশোরীর ডিম্বানু বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা করে পেত। মধ্যস্থতাকারী মহিলাকে প্রত্যেক বিক্রির ক্ষেত্রে ৫ হাজার করে কমিশন দিতে হত, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মা-বাবা এক দশক আগেই আলাদা হয়ে যায় এবং মা তার ছোট কম্যা সন্তানকে নিয়ে বহু বছর আগেই ওই পুরুষ বন্ধুর বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু একাধিক সময়ে ওই পুরুষ বন্ধুটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করত বলে জানা গিয়েছে।
পকসো আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য সচিব জে রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছে যে অন্য আঙ্গিকে এই মামলার তদন্ত করার জন্য মেডিক্যাল পরিষেবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি এই ঘটনায় চিকিৎসক ও হাসপাতাল জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।