শুরু হল রেলের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া! কোন পথে ট্র্যাক চেঞ্জ হবে মালিকানার?
১০৯টি রুটে চলবে ১৫১টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যা চালাবে কোনও বেসরকারি সংস্থা। ডিসেম্বরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার তার জন্য শুরু হল রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিকেশনের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ এই ১৫১টি ট্রেন চালাতে কে বা কারা আগ্রহী তা জানার প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার।
আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের পরিষেবা
আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের পরিষেবার জন্য ১৫১টি বেসরকারি ট্রেন চালানোর কথা ডিসেম্বরে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই পরিবহন পরিষেবায় বেসরকারি সংস্থার প্রবেশ এই প্রথম। গতকাল বিষয়টি জানিয়ে রেলমন্ত্রক বলে, রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম।
৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করাতে, যাত্রার সময় কমাতে, কর্মসংস্থান ও যাত্রী সুরক্ষা বাড়াতে এবং বিশ্বমানের পরিষেবা দিতে। তবে, এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ট্রেনই তৈরি হবে ভারতে, মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে। বেসরকারি সংস্থাগুলি শুধু ট্রেনের দেখাশোনা ও আর্থিক বিনিয়োগ করবে। যার পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
কোন ট্রেনের বেসরকারিকরণ?
রেলমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, বর্তমানে তেজস বা হামসফরের মতো ট্রেনে যে আধুনিক কোচ ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ধরনের কোচ ব্যবহার হবে বেসরকারি ওই ট্রেনগুলিতে। যা সর্ব্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছুটতে পারবে। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ১৬টি কামরা। মূলত যে রুটগুলি লাভজনক এবং যে রুটে যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে সেই রুটগুলিতেই ওই ট্রেনগুলি চালানো হবে। ভাড়া ঠিক করার দায়িত্বে থাকবে বিনিয়োগকারী সংস্থা।
কেন বেসরকারিকরণের পথে রেল?
কেন বেসরকারিকরণের পথে রেল? হিসেব বলছে বেসরকারির হাতে দিয়ে দিলে প্রতি বছর ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে থাকলেও চালক এবং গার্ড সরাসরি রেলওয়ে কর্মী থাকবেন। ট্রেন চালানো ব্যবস্থা বেসরকারিকরণ করার সপক্ষে রেলমন্ত্রক যে যুক্তি গুলো সামনে রাখছে তার মধ্যে অন্যতম হল, আরও রেলের কারখানা তৈরির সম্ভাবনা। ১৬ বগির ট্রেন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্মসংস্থান বাড়বে
সঠিকভাবে নিয়োগ হলে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়বে। পরিষেবা আরও আধুনিকীকরণ হবে। যাত্রীরা আরও বেশি স্বচ্ছন্দ্যভাবে যাতায়াত করতে পারবেন। সেরা পরিষেবা দিয়ে যাত্রী আকর্ষণ করার জন্য একাধিক সংস্থার মধ্যে তৈরি হতে পারে প্রতিযোগিতা, ঠিক যেমন যাত্রীবাহি বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে হয়।