মে মাসের ২৮ তারিখের নির্দেশিকার সঙ্গে সিএএর সংযোগ নেই, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
২০১৯ সালের শেষ ও ২০২০ সালের গোড়ার দিকে দেশে কার্যত আগুন জ্বলেছিল সিএএ ইস্যুতে। অসম থেকে দিল্লির রাজপথ দেখেছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ। এদিকে ২৮ মে কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি হয়। সেই নির্দেশিকার সঙ্গে সিএএর যোগ নেই বলে এদিন সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে কেন্দ্র।
মূলত ,২৮ মে র যে নির্দেশিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে, তা হল, দেশের ৫ রাজ্যের ১৩ জন জেলা কালেক্টরকে অমুসলিম শরণার্থীদের (প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা) ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবতই প্রশ্ন উঠছে, এই ৫ রাজ্যে জারি করা নির্দেশিকা কি দেশকে সিএএর পথে নিয়ে যাচ্ছে? প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে উঠে আসা সিএএ নিয়ে মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টে। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি, খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছে সিএএ আইন। যা নিয়ে দেশে আগুন জ্বলে যায়।
এদিকে, ২৮ মে কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে , তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একটি পিটিশন। মূলত, গুজরাত, পাঞ্জাব, রাজস্থানের মতো পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজ্য ও ছত্তিশগড়, হরিয়ানার ১৩ জন জেলা কালেক্টারকে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এই
নির্দেশের
প্রেক্ষিতে
পিটিশন
দায়ের
হয়।
পিটিশনে
জানতে
চাওয়া
হয়েছে
যে,
এই
নির্দেশিকার
হাত
ধরেই
কি
এবার
দেশ
সিএএর
পথে
হাঁটছে?
সেই
মর্মে
নিজের
অবস্থান
স্পষ্ট
করেছে
কেন্দ্র।
কেন্দ্র
জানিয়েছে,
স্থানীয়
ইস্যুতে
যাতে
স্থানীয়
প্রশাসন
ব্যবস্থা
নিতে
পারে,
তার
জন্যই
এই
নির্দেশিকা।
কেন্দ্রীয়
সরকার
ভারতীয়
দণ্ডবিধির
সেকশন
১৬
ধারা
অনুযায়ী
ব্যবস্থা
গ্রহণ
করছে।
এই
ধারা
অনুযায়ী
কিছু
সিদ্ধান্ত
গ্রহণের
ক্ষেত্রে
রাজ্যকে
ক্ষমতা
দেওয়া
যায়
নাগরিকত্বের
ক্ষেত্রে।
তবে
এর
সঙ্গে
সিএএর
যোগ
নেই।
কেন্দ্র
জানিয়েছে
২০১৬
সালে
একই
রকমের
পদক্ষেপ
কেন্দ্র
নিয়েছিল
স্থানীয়
প্রশাসনিক
ইস্যুতে।
সেই
সময়ের
পদক্ষেপের
একটি
দিন
২৮
মের
নির্দেশিকা।
জানিয়েছে
কেন্দ্র।