কর্ণাটকে মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ, ক্যাবিনেট সদস্য বাছাইতেও নজর আগামী লোকসভায়
বুধবার শপথ নেবে কুমারস্বামী মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এইচ ডি কুমারস্বামী শপথ নিয়েছেন প্রায় দু সপ্তাহ হতে চলল। বুধবারই প্রথম তাঁর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে। জনা ১২ কংগ্রেস বিধায়ক ও ৯জন মতো জেডিএস বিধায়ক এদিন শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মন্ত্রীসভা নিয়ে ভবিষ্যতে জোটে কোনও মতানৈক্য হলে, তা মেটাতে দু'তরফেই আপাতত কয়েকটি পদ ফাঁকা রাখা হবে।
মঙ্গলবারই কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা কংগ্রেস সভাপতি রাহল গান্ধীর সঙ্গে বসে মন্ত্রী হিসেবে ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কের নাম চুড়ান্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতাদের ঠিক করা নামের তালিকাতেই রাহুল সম্মতি দেন। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বড় কোনও মন্ত্রক পাবেন বলে আশআ করা হচ্ছে। এছাড়া কেজে জর্জ, প্রিয়াঙ্ক খাড়গে, আরভি দেশপান্ডে, এইচ কে পাতিলের মতো কংগ্রেস বিধায়করা এদিন শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
মন্ত্রীদের নাম ঠিক করার সময়ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রদেশ কংগ্রেসের এক সূত্র। কর্ণাটকের সব সম্প্রদায় ও সব এলাকা যাতে সমান গুরুত্ব পায়, সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জোট বার্তাকে জোরালো করতে রাজ্যে একমাত্র জয়ী বসপা বিধায়ক এন মহেশকেও মন্ত্রীসভায় ঝায়গা দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
গত ১ জিন তারিখে কংগ্রেস-জেডিএস জোট, মন্ত্রক বন্টনের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা অনুযায়ী ২২ টি মন্ত্রক রয়েছে কংগ্রেসের হাতে, আর ১২ টি পেয়েছে জেডিএস।
কংগ্রেসের দপ্তরগুলি হল, স্বরাষ্ট্র, সেচ, বেঙ্গালুর শহর উন্নয়ন,শিল্প ও ইক্ষু শিল্প, স্বাস্থ্য, রাজস্ব, নগরোন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, কৃষি, আবাসন, চিকিৎসা সংক্রান্ত শিক্ষা, ,সমাজ কল্যান, বন ও পরিবেশ, শ্রম, খনি ও ভূতত্ত্ব, নারী ও শিশু কল্যান, খাদ্য ও নাগরিক জোগান, হজ ওয়াকফ এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক, আইন ও সংসদ বিষয়ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - আইটিবিটি, যুব ক্রিড়া ও কন্নড় সংস্কৃতি, বন্দর ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন উন্নয়ন।
জেডিএস-কে যে ১২ টি দপ্তর দিতে সম্মত হয়েছে কংগ্রেস সেগুলি হল - তথ্য (জিএডি, গোয়েন্দা, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান), অর্থ ও আবগারি, পিডব্ল্যুডি, শক্তি, সহযোগিতা, পর্যটন, শিক্ষা (চিকিৎসা সংক্রান্ত শিক্ষা ব্যতীত), পশুপালন ও মৎসচাষ, উদ্যান পালন ও রেশম চাষ, ক্ষুদ্রশিল্প, পরিবহন, ক্ষুদ্র সেচ।