মোদীর বৈঠকে অনুপস্থিত অজয় মিশ্র, লখিমপুরের কৃষকদের মন জয়ে কোন নতুন পথ নিচ্ছে বিজেপি
লখিমপুর খেরির ঘটনায় বিরোধীদের তীব্র নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র। গতকাল উত্তর প্রদেশের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটের রণকৌশল নির্ধারনই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তর প্রদেশের সাংসদ অজয় মিশ্র। গত কয়েকদিন ধরেই অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা তার মদতেই ঘটেছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ঘটনায় অজয় মশ্রের ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

অজয় মিশ্র সংকট
উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তত মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও লখিমপুর খেরির ঘটনা কাঁটা হয়ে বিঁধে রয়েছে যোগী প্রশাসনের কাছে। ভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে তত ক্ষত চওড়া হচ্ছে। বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রস। গত তিন দিন ধরে লখিমপুর খেরির কৃষক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয়েছে সংসদ অধিবেশন। অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবি করে সংসদে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী অজয় মিশ্রের অপসারণ দাবি করে তাঁকে ক্রিমিনাল বলে আক্রমণ করেছেন।

মোদীর বৈঠকে অনুপস্থিত অজয় মিশ্র
এদিকে যখন সংসদে অজয় মিশ্ররের অপসারণের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে তখন উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট নিয়ে রণকৌশল নির্ধারণে বিশেষ বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে মোদীর বাসভবনে উত্তর প্রদেশের ৪০ জন সাংসদকে সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। তাঁর অনুপস্থিতি নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে। তাহলে কী উত্তর প্রদেশের ভোটের কথা ভেবে অজয় মিশ্রকে দূরে সরিয়ে রাখতেই চাইছে মোদী সরকার। যদিও বিজেপি সূত্রে খবর অজয় মিশ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করতে চায় না তারা। ছেলের সাজা কেন বাবা পাবে এই নিয়ে পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি।

লখিমপুর খেরি কাঁটা
কৃষি আইন বাতিল করলেও লখিমপুর খেরির কৃষক মৃত্যুর ঘটনা কাঁটা হয়ে রয়েছে। সেখানকার কৃষকদের অসন্তোষ দূর করতে নতুন অভিযানে নামতে চলেছে বিজেপি। জন বিশ্বাস যাত্রা নামে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে বিেজপি। তার সঙ্গে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব কর্মসূচিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কৃষি আইন বাতিলের পরেও কৃষকদের মন জয়ে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে যোগী সরকার। কোনও ভাবেই কৃষকদের ভোট নষ্ট হতে দিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। তাঁদের হাতে রাখতেই তড়ি ঘড়ি কৃষি আইন বাতিলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।