হাতে নেই কাজ! ভোট-উৎসবের আবহেই বিহার ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের
হাতে নেই কাজ! ভোট-উৎসবের আবহেই বিহার ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের
ক্রমেই চড়ছে বিহার নির্বাচনের পারদ। আর তার মাজেই করোনা, বন্যা, পরিযায়ী সঙ্কট, কর্মসংস্থানের ইস্যুতে একাধিক বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যাচ্ছে শাসক বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলকেই। এদিকে লকডাউনের মাঝেই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কারণে যে রাজ্যগুলি শীর্ষ তালিকায় ছিল তার মধ্যে বিহার অন্যতম।
শিয়রে ভোট, তবুও পরিযায়ী সঙ্কটে নাজেহাল বিহার
এদিকে গত কয়েকমাসে করোনাকালীন পরিস্থিতি পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেশজোড়া আন্দোলনে নামে বিরোধীরা। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে স্পেশ্যাল ট্রেনের ব্যবস্থা করে ভারতীয় রেল। পরবর্তীতে ওই ট্রেনের টিকিট নিয়েও শুরু হয় রাজনীতি। যদিও আশার কথা এই যে ভারতীয় রেলের এই উদ্যেগে ঘরে ফেরে বাংলা বিহারের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের দল।
লকডাউনেই শ্রমিক স্পেশ্যালে ৯৭ জন পরিযায়ীর মৃত্যু
এদিকে সুরহা হলেও শ্রমিক স্পেশ্যালে যাতায়তের নারকীয় অভিজ্ঞতার কথা আমরা জানতে পারি পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখেই। এদিকে সংসদের শেষ বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র জানায় এই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনেই যাতায়াতের সময় মোট ৯৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত কয়েক মাসে। এদিকে লকডাউনে কাজ হারিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরলেও নিজের রাজ্যেও না পেয়ে দিশেহার হয়ে পড়েন তারা।
নির্বাচন ও উৎসবের মাঝেও ফের কাজের আসায় ভিন রাজ্যে পাড়ি পরিযায়ীদের
সূত্রের খবর, বর্তমানে আসন্ন বিহার নির্বাচন ও উৎসবের মাঝেও ফের কাজের আসায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকের দল। বিহারের পাশাপাশি একই চিত্র বাংলার মুর্শিদাবাদেও। সাম্প্রতিকালে প্রকাশিত একটি তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে সমস্ত লাইন গুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত সবথেকে বেশি সেখানে ট্রেনের টিকিটির চাদিদাও তুঙ্গে রয়েছে। আর এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিহার।
কী বলছেন রেলের আধিকারিকেরা ?
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতীয় রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, " বিহারের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল পরিযায়ী শ্রমিকেরা খুব সম্ভবত ছট পার্বন পর্যন্ত নিজ রাজ্যেই থাকবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্যই আমাদের অবাক করে দিচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে তাদের একটা বড় অংশেই হয় আবার পুরনো কাজে যোগ দিতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন, বা নতুন কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন।"
করোনাসুরের দাপটে বাগবাজারের দুর্গা দালান শুনশান, ষষ্ঠীর বোধনে নেই সেই জৌলুস