কেন ভোট দেবেন? প্রশ্ন এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে চূড়ান্ত বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকদের
কেন ভোট দেবেন? প্রশ্ন এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে চূড়ান্ত বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকদের
কারও বয়স ১৯, কেউ ২১ তো কারও ২০। ভোটাধিকার পেয়েই যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এনেছিলেন, আজ তাঁরাই যারপরনাই হতাশ। করোনা ভাইরাসের জেরে কাজ হারানো এসব পরিযায়ী শ্রমিকরা যেনতেন প্রকারেণ নিজেদের গ্রামে ফিরতে চান। দুঃসময়ে দাঁড়াতে চান পরিবারের পাশে। তাই তো তাঁদের এত অস্থিরতা। অথচ সরকার সব বুঝেও কেন তাঁদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে, তা বুঝে উঠতে পারছে না তরুণ ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দল।
সরকার নির্ধারিত ট্রেন এবং বাসের সংখ্যা সীমিত। তাই অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হচ্ছে দিল্লিতে আটকে থাকা কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের। ভাঙছে ধৈর্য্যের বাঁধ। আর থাকতে না পেরে চুপিচুপি গাজিপুরের দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত পেরোতে গিয়েছিল তরুণ শ্রমিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেননি তাঁরা। ধরা পড়ে গিয়েছিলেন প্রশাসন নিযুক্ত পুলিশের হাতে। যেখান থেকে বেরিয়েছিলেন, সেখানেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু এভাবে আর কদিন। কেন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের কথা ভাবছে না, প্রশ্ন কর্মহীন-ক্লান্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের।
পথ দুর্ঘটনা এবং রেলে কাটা পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ছিন্নভিন্ন মৃতদের দেখে আঁতকে উঠেছিল দেশ। তবু আস্থা রেখেছিল, সরকার নিশ্চয় এবার নড়েচড়ে বসবে। এবার কাজহারা পরিযায়ী শ্রমিকদের যথার্থ উপায়ে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে আশা করেছিল মানবিক সমাজ। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টোটাই হয়েছে বলে জানাচ্ছেন শ্রমিকদেরই একটা অংশ। তাঁদের কথায়, ট্রেন কিংবা বাসে চেপে নিজেদের রাজ্যে পৌঁছনোর জন্য অনুমতি সংগ্রহ করতে দিনভর লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে তাঁদের। সেই লাইন যেন এগোতেই চাইছে না। সরকার তো তাঁদের কথা ভাবছেই না, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের ফায়দা লুটতে ব্যস্ত বলে জানিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা অংশের প্রশ্ন, তাঁরা জানেন না যে কাকে ভোট দিয়েছেন এবং কেন তা করেছেন। আগামী দিনে কোনও দলকে তাঁরা কেনই বা ভোট দেবেন, সে প্রশ্নও করেছেন নির্বাচনী অধিকার পাওয়া শ্রমিকদের। তাঁদের মতে, সব রাজনৈতিক দলই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ।
করোনার মধ্যেও ভারতকে রাফায়েল জেট সরবারহ করা হবে সময়েই, জানাল ফ্রান্স