হাতে নেই পয়সা, না খেতে পেয়ে মরতে হত! ঘরে ফিরে এবার বেকারত্ব, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই পরিযায়ীদের
হাতে নেই পয়সা, না খেতে পেয়ে মরতে হত! ঘরে ফিরে এবার বেকারত্ব, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই পরিযায়ীদের
পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা কমবেশি সবারই একই রকমের। হাতে পয়সা শেষ হয়ে এসেছিল। সেই জন্যই ঘরে ফেরা। আর ঘরের ফেরার পর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বেকারত্ব আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই। সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে এরকমই এক পরিযায়ীর কথা।
কাজের খোঁজে কানপুরে
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা শ্যামবাই। আটবছর আগে স্বামী মারা গিয়েছে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের কানপুরে কাজের উদ্দেশে। এরই মধ্যে ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্র।
ফেরার পথেওবিপত্তি
অভিযোগ নিয়োগকর্তা বেতন তুলে দেয়নি। পাঁচজনকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছিল। এরমধ্যে ৮০০ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু। ট্রাকে উঠেও ৩৫০ টাকায় মাত্র ২০০ কিমি যাওয়ার তারপরেই ট্রাক চালক নামিয়ে দেয়। এরপর কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও ভ্যানে। পরে সাতনার এক বাস তাদের পান্নায় পৌঁছে দেয়। সেখানেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা হয়।
গ্রামে পৌঁছনোর পর ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে, গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে। সেখানে মেলেনি খাবার। বাধ্য হয়েই ঘর থেকে খাবার গিয়েছিল।
ভরসা শুধু ৩৫ কেজি গম
ঘরে ফেরার পর রেশন কার্ডে পাওয়া ৩৫ কেজি গমের ওপরেই ভরসা। এছাড়া আর কোনও সরকারি সাহায্য মেলেনি। এখন শ্যামবাই কিংবা তার ১৮ বছরের ছেলের হাতে নেই কোনও কাজ। লড়াই করতে হচ্ছে বেকারত্বের সঙ্গে। লড়াই করতে হচ্ছে বৈষম্যের সঙ্গেও।
সোনু সুদই শুধু নন! বলিউডের একাধিক তারকা নীরবে আর্তের সাহায্য করে যাচ্ছেন