ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়তে হবে! দুই ব্যবসায়ীকে খুন করে চরম হুঁশিয়ারি লস্কর সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনের
নতুন করে উত্তেজনা কাশ্মীরে। বারবার সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে তাঁরা। গত কয়েকদিন আগেই বিহারের এক শ্রমিককে খুন করে জঙ্গিরা। শধু তাই নয়, খুব সামনে থেকে গুলি করা হয় উত্তরপ্রদেশের আরও এক শ্রমিককে। বারবার এই ঘটনাতে তীব্র আতঙ্
নতুন করে উত্তেজনা কাশ্মীরে। বারবার সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে তাঁরা। গত কয়েকদিন আগেই বিহারের এক শ্রমিককে খুন করে জঙ্গিরা। শধু তাই নয়, খুব সামনে থেকে গুলি করা হয় উত্তরপ্রদেশের আরও এক শ্রমিককে। বারবার এই ঘটনাতে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
দুই শ্রমিককে প্রকাশ্যে কাশ্মীরে খুন করার ঘটনাতে প্রশ্নের মুখে পড়ে সেখানকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা।
আর এই ঘটনার প্রায় কয়েক ঘন্টা পর দায় নিল লস্কর-ই-তৈবা সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন United Liberation Front।
জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু
উপত্যকায় নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে United Liberation Front। লস্করের সমথনে এই জঙ্গি সংগঠনটি নতুন করে একাধিক জঙ্গিকার্যকলাপ চালাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে একাধিক সাধারণ মানুষকে টার্গেট করা হয়েছে। তবে প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে এই জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিহারী দুই শ্রমিককে হত্যা করার দায় নিল এই জঙ্গি সংগঠনের। জম্মু-কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনকে সাধারণ মানুষকে খুন করা হয়েছে। যদিও বিহারী দুই শ্রমিককে হত্যার ঘটনাতে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
শ্রমিকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ
বিহারী দুই শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় United Liberation Front দায় স্বীকার করার পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এই মুহূর্তে কর্মরত ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে এই শ্রমিক সংগঠনটি। আর হুঁশিয়ারি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মুহতে সে রাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফে আশ্বাস, শ্রমিকদের নিরাওত্তার সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও তা মাণতে নারাজ অনেকেই। আর সেই কারনে এই হুশিয়ারি সামনে আসার পরেই কাশ্মীর ছাড়ার তোড়জোড় শুরু।
কাশ্মীরিদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা
এদিন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, এই ধরনের হামলা কাশ্মীরিদের বদনাম করতে করা হচ্ছে। এই ধরনের হামলাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন, কাশ্মীরিরা এই ধরনের হামলার পিছনে জড়িত নয়। এদিকে সাধারণ মানুষকে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় কাশ্মীর বিরোধী বিক্ষোভ জোরদার হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারে কুশপুতুলও দাহ করে। এদিকে জঙ্গিদের এই হামলার জেরে বিভিন্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকা কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সদস্যরা উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বহু পরিবার, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীরি পরিযায়ী হিসেবে চাকরি পাওয়া অনেকেই উপত্যকায় গিয়েছিলেন। তাঁরা এবার কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন।