স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতিতে ভর্তি কোভিড ওয়ার্ডে, পরিযায়ী শ্রমিক নেগেটিভ থেকে করোনা পজিটিভ
স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতিতে ভর্তি কোভিড ওয়ার্ডে, পরিযায়ী শ্রমিক নেগেটিভ থেকে করোনা পজিটিভ
একদিকে যেমন করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্বাস্থ্য কর্মী–চিকিৎসকরা রোগীদের সুস্থ করার কাজে লেগে পড়েছেন তেমনই ঠিক অন্যদিকে স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতিতে ৩৬ বছরের এক পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত হলেন করোনা ভাইরাসে। ওই শ্রমিক ভর্তি ছিলেন গোরখপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে।
কোভিড ওয়ার্ডে ১২ ঘণ্টা রাখা হয় ওই শ্রমিককে
গোরখপুরের কমিশনার জয়ন্ত নার্লিকর নির্দেশ দিয়েছেন যে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করার। জানা গিয়েছে, ৩৬ বছরের ওই পরিযায়ী শ্রমিকের টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ পাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, যেখানে তাঁকে ১২ ঘণ্টা রাখার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। ওই শ্রমিকের দ্বিতীয়বার টেস্ট করা হলে তাঁর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
নাসিক থেকে আসা ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের টেস্ট হয়
গোরখপুরের অতিরিক্ত মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আইভি বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন যে, নাসিক থেকে ১০ জনের পরিযায়ী শ্রমিকের দল গত সপ্তাহেই উন্নাও পৌঁছায়, যাঁদের মধ্যে একজন মারাও যান। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এটা সন্দেহের পরই কর্তৃপক্ষ বাকি ৯জন শ্রমিকদেরও করোনা টেস্ট করায়। ৯ জনের মধ্যে ৪ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায় এবং ৩৬ বছরের পরিযায়ী শ্রমিক সহ বাকি পাঁচজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সিএও এর সঙ্গে এও জানান যে ওই একই সময় ৪০ বছরের এক ব্যক্তির রিপোর্টেও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে, যিনি মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন।
করোনা পজিটিভের জায়গায় নেগেটিভ রোগীকে ভর্তি করা হয়
বিশ্বকর্মা বলেন, ‘১০ জন শ্রমিকের দলের মধ্যে যাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাঁকে মুম্বই থেকে আসা করোনা পজিটিভ রোগী ভেবে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় ভুলবশত।' যখন হাসপাতালে পজিটিভ রোগী পৌঁছায় না তখন খোঁজ শুরু হয় তাঁর এবং ওই ব্যক্তিকে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে পাওয়া যায়। সিএমও বলেন, ‘দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৩৬ বছরের শ্রমিক যাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল, তাঁকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হয় এবং রবিবার রিপোর্টে দেখা যায় যে ওই শ্রমিকও করোনা আক্রান্ত।'
গাফিলতির কথা স্বীকার জেলা প্রশাসনের
জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এই গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দুই ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে এই অনিচ্ছাকৃত ভুলটি হয়। গোরখপুরের কমিশনার জয়ন্ত নার্লিকর বলেন, ‘আমি এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারিভাবে একটি সতর্কতাও জারি করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল না হয়।' বর্তমানে গোরখপুরে ১৯ জন করোনা ভাইরাসের রোগী রয়েছে। সোমবার আরও ছ'জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
আম্ফান বনাম এনডিআরএফ, সুপার সাইক্লোন নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা! মোতায়েন ৫৩টি দল