জেটলির বাজেটে আদৌ কি অগ্রাধিকার পাবে কর্মসংস্থান, কী বলছে সমীক্ষা
ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির আশা ২০১৮-র কেন্দ্রীয় বাজেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বলা ভাল, কৃষি ক্ষেত্রের থেকেও কাজের সুযোগ তৈরিতে এই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির আশা ২০১৮-র কেন্দ্রীয় বাজেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বলা ভাল, কৃষি ক্ষেত্রের থেকেও কাজের সুযোগ তৈরিতে এই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনলাইন সমীক্ষা বলছে, ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন সরকার কৃষি ক্ষেত্রের থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেবে অন্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে। কর্মসংস্থানের সুযোগ শহর এবং গ্রামে ভাগ হয়ে গেলেও, সবাই মনে করেন এই বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেবে সরকার।
কাজের সুযোগ তৈরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জের। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের প্রচারে বছরে এককোটি কাজের সুযোগ তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলতে গেলে প্রতিবছর দেশে এককোটি কর্মপ্রার্থী যুক্ত হয়। এর প্রায় পুরোটাই দেশের যুব সম্প্রদায়। যার মধ্যে গ্রাম কিংবা শহরের ভেদাভেদ নেই। নেই জাতিভেদও। আর এই কাজের সুযোগ তৈরির বিষয়টিই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আঘাত করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন কী বিষয়টি বিজেপিকে আঘাত করতে পারে রাজ্যগুলির নির্বাচনেও।
২০১৯-এর নির্বাচনের আগে ২০১৮-১৯-এর বাজেটই বিজেপির কাছে শেষ সুযোগ। যার মাধ্যমে বিজেপি তার জনভিত্তি বাড়াতে পারে। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৩ এবং ২০১৪-তে যথাক্রমে ৪১৯,০০০ এবং ৪২১,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৩৫,০০০-তে। এমনটাই জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রকের তথ্য। মন্ত্রকের অপর একটি সমীক্ষায় দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারির কথাও জানিয়েছে। দেখা গিয়েছে, ২০১৩ অর্থ বর্ষে বেকারির হার ছিল ৪.৭ শতাংশ, ২০১৪-তে ৪.৯ শতাংশ। ২০১৬-তে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ শতাংশে।
সম্প্রতি গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে, গ্রামের দিকে ভোট কমেছে বিজেপির। ফলে বিষয়টি চিন্তায় রেখেছে বিজেপি নেতৃত্বকেও। সামনের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই শেষ বাজেট হওয়ায়, কর্মসংস্থানের মতো বিশেষ বিশেষ বিষয়ে বাজেটে জোর দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা কিনা ভোটে বিজেপির পক্ষে প্রভাব ফেলবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাজ নিয়ে বাজেটে বড় ঘোষণা করতে পারে সরকার। ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট পলিসিরও ঘোষণাও করা হতে পারে।