বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রাক চলাচল ইস্যুতে কেন্দ্রের রোষে পশ্চিমবঙ্গ! মমতা সরকারকে বড় নির্দেশ কেন্দ্রের
বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রাক চলাচল ইস্যুতে কেন্দ্রের রোষে পশ্চিমবঙ্গ! মমতা সরকারকে বড় নির্দেশ কেন্দ্রের
করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব ছড়ানোর পর থেকেই কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত দেখা দিতে শুরু করেছে। করোনা মোকাবিলায় একের পর এক পদক্ষেপ সরকারগুলি নিলেও তা নিয়ে মোদী সরকার ও মমতা সরকারের মধ্যে প্রবল মতপার্থক্য দেখা দিতে শুরু করেছে। আর সেই বিরোধী মনোভাবই এবার তুঙ্গে উঠল বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রাক চলাচল ইস্যুতে।
কেন্দ্রের সাফ বার্তা
বুধবার মমতা সরকারের প্রবল সমালোচনায় নামে কেন্দ্র। ভারত, বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে কেন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন বাংলার কাছে রাখে কেন্দ্র। ট্রাকে রাখা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাংলাদেশে না পৌঁছলে তা আন্তর্জাতিক স্তরে যে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে,তা মমতার প্রশসানকে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আইন ভঙ্গের অভিযোগ!
বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলি যদি বাংলাদেশে যেতে না দেওয়া হয়, তাহলে তা 'ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট' আইনের লঙ্ঘন করা হবে বলেও বাংলাকে সাফ ভাষায় জানিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া ট্রাক চলাচল ইস্যুতে কেন্দ্রের বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও, তা মমতা সরকার কেন অনান্য করছে, এই মর্মেও পশ্চিমবঙ্গকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি কেন্দ্র।
ট্রাক ছাড়ার নির্দেশ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে দেওয়া এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় সচিব অজয় ভল্লা জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-নেপাল, ভারত-ভূটান সীমান্তের সমস্ত ট্রাক যেন পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে দেয়। গত ২৪ এপ্রিল থেকে এই ট্রাক চলাচল আটকে থাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে প্রবল সমস্যা দানা বেঁধেছে।
বাংলাদেশে আটকে ভারতীয় চালকরা
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগত ভারতীয় ট্রাককে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে আটকানো হচ্ছে, এতে যেমন অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের পরিবহন ব্যহত হচ্ছে, তেমনই চালকরা নিদের দেশে ফিরতে চেয়েও পারছেন না। যার জন্য় মমতা সরকারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে কেন্দ্র।