
নজর কি ৫ রাজ্যের ভোটে, বাড়তি সময়সীমাও পেরিয়ে গেলেও জারি হয়নি নাগরিকত্ব আইনের নোটিফিকেশন
পেরিয়ে গেল ৯ জানুয়ারির শেষ সময়সীমাও। কিন্তু তারপরেও সিএএ নিয়ে কোনও নোটিফিকেশন জারি করল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চেেয়ছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সংসদীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এর আগে ২ বার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে। তাতে পর পর ২ বার তার অনুমোদন দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু তারপরেও তার নোটিফিকেশন জারি করা হয়নি।

নাগরিকত্ব নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চুপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকআইন নিয়ে চুপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথম নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করে। তারপরেই গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। উত্তর পূর্বের রাজ্য থেকে শুরু করে দক্ষিণের তামিলনাড়ু সর্বত্র বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছিল। রাজধানী দিল্লিতে তো প্রায় দীর্ঘ ১ বছর ধরে চলেছে সিএএ বিরোধী আন্দোলন। এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে িগয়েছিল। সেই আইন সংসদে পাস হলেও এখনও গোটা দেশে কার্যকর হয়নি। এক প্রকার এই আইন নিয়ে চুপ করে গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

কার্যকর হবে কবে
একের পর এক দিন পিছিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গতবছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্য নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নোটিফেশন জারি করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতে প্রথমে ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয় সময়। তারপরে আবার ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ বিবৃতি দিেয়ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারপরে আর এই নিয়ে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও কথা বলা হয়নি। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে এখনও তা কর্যকর করার নোটিস জারি করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জাির ৬ মাসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হয়।

ফের ৫ রাজ্যের ভোট
ফের ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট চলে এসেছে। এবার হেভিওয়েট উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব ছাড়াএ ভোট হবে গোয়া, মণিপুর, হিমাচল প্রদেশে। কাজেই উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনও সেটা কার্যকর করার সাহস দেখাতে পারছে না মোদী সরকার। উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে । সেই বিরোধের জেরে একাধিক ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁদের মুক্ত করা হয়।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চাপ বাড়ছে
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের। বঙ্গের ভোটের প্রচারে মতুয়াদের ভোট টানতে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার কথা বলেছিল বিজেপি। কিন্তু কবে সেটা কার্যকর করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনও কথা বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে ভোট রয়েছে। সেকারণেই হয়তো আরও এই আইন কার্যকর করার সাহস দেখাতে পারছে না মোদী সরকার। কারণ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সবার আগে বিরোধিতা শুরু করেছিল এই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিই।