কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত হওয়ায় সিএএ প্রয়োগে বিকল্প পথের চিন্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধি প্রণয়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বিবেচনা করছে না।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধি প্রণয়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বিবেচনা করছে না। ইতিমধ্যেই ছটির বেশি রাজ্য জানিয়েছে তারা এই আইন প্রণয়ন করবে না। মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিএএ-র জন্য বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রত্যেকটি দিক সাবধানে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এই বিধি কীভাবে প্রণয়ন করা হবে, তার জন্য কানও রাজ্যের কাছ থেকে কোনও রকমের পরামর্শ চাওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তবে আইনটি পাশ হওয়ার আগে এবিষয়ে পরামর্শ করা হয়েছিল, জানিয়েছেন তিনি।
ওই শীর্ষ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে যেসব আবেদন জমা পড়েছে তার সমাধানের অপেক্ষায় বসে থাকবে না। কেননা শীর্ষ আদালত এই আইনের প্রয়োগে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি।
তবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বেশ কিছু উপদেশ পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। সিএএ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে অসম। বিক্ষোভ চলছে সংসদে এই আইন পাশ করানোর দিন থেকে।
এপ্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, অসমের থেকে তারা বেশ কিছু উপদেশ পেয়েছেন। কিন্তু অন্য কোনও রাজ্য থেকে তারা কোনও উপদেশ চাননি। সংসদে কোনও বিল পাশ হওয়ার পর বিধি প্রণয়ন করা সরকারের কাজের মধ্যেই পড়ে।
এই
আইনে
কাট-অফ
তারিখের
কথা
উল্লেখ
করা
হয়েছে।
তাই
কীভাবে
আবেদনকারী
প্রমাণ
করবেন
২০১৪-র
৩১
ডিসেন্বরের
আগে
তিনি
এই
দেশে
এসেছেন,
সেই
সিদ্ধান্তে
তাদের
পৌঁছতে
হবে।.
জানিয়েছেন
ওই
আধিকারিক।
কী
কী
প্রমাণ
লাগবে,
তা
নিয়েও
কথা
চলছে।
এর
পরে
প্রশ্ন
আসছে
আবেদনকারী
পাকিস্তান,
আফগানিস্তান
কিংবা
বাংলাদেশে
কোনও
ধর্মীয়
নির্যাতনের
মুখোমুখি
হয়েছিলেন
কিনা।
কেরল,
পশ্চিমবঙ্গ,
মধ্যপ্রদেশ,
ছত্তিশগড়,
রাজস্থান,
মহারাষ্ট্র-সহ
সব
বিজেপি
বিরোধী
রাজ্য
সরকার
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে,
তারা
এই
আইন
প্রণয়ন
করবে
না।
যদিও
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
সূত্র
বলছে,
সিএএ
প্রয়োগ
অস্বীকার
করা
রাজ্যগুলির
আওতাতেই
নেই।
কেননা
তা
কেন্দ্রীয়
তালিকা
ভুক্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
পরিকল্পনা
করছে
প্রয়োজনীয়
প্রশাসনিক
নোটিশের
কথা,
যা
কিনা
রাজ্যগুলিতে
এই
আইন
প্রয়োগে
বাধা
দেওয়া
ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধকতা
তৈরি
করবে।