ধর্ষণের শিকার মহিলাদের মেডিক্যাল টেস্টে নয়া বিধি, চিকিৎসকদের জানাল কেন্দ্র
ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের। সেই নিয়মাবলী নিয়ে এবার নয়া নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের। সেই নিয়মাবলী নিয়ে এবার নয়া নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ধরণের ঘটনায় কী কী করণীয় আর কোন বিষয়গুলিকে মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা যাবে না , তা নিয়ে এসেছে নির্দেশ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী বলা হয়েছে, ধর্ষণে নির্যাতিতাদের মেডিক্যাল টেস্টের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেন চিকিৎসকরা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথমত, নির্যাতিতাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও মানসিক সমর্থন যোগানো চিকিৎসকদের একান্ত কর্তব্য। দ্বিতীয়ত , ধর্ষণের আইনি মামলাটিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রকমকভাবে সাহায্য করতে হবে চিকিৎসকে। এক্ষেত্রে নমুনা প্রমাণ ও উপযুক্ত নথি প্রদান করা চিকিৎসকদের কর্তব্য। এর আগে, গত ২৫ জুলাই জারি করা কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয় সমস্ত পুলিশ কমিশনর ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা যাতে ভার্জিনিটি টেস্ট বা টু ফিঙ্গার টেস্ট থেকে বিরত থাকেন। উল্লেখ্য, এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় নির্যাতিতা আগে কোনওরকমের যৌন সঙ্গমে আবদ্ধ হয়েছেন কি না। এর মাধ্যমে নির্যাতিতার ধর্ষণের ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করা হয়। এছাড়াও মহিলার যৌনাঙ্গের আকার নিয়ে রিপোর্টে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না ওই মেডিক্যাল টেস্টের চিকিৎসক । ইতিমধ্যেই এই সমস্ত নির্দেশ সংশ্লিষ্ট দফতর ও প্রশাসনকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।