শুধু টাকা জালিয়াতিই নয়, নকল হিরে বেশি দামে বিক্রি করতেন মেহুল চোকসি, সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
গীতাঞ্জলি জেমসের প্রাক্তন কর্মী বলছেন, নিজেদের হিরের ব্যবসাতেও মেহুল চোকসি দিনের পর দিন জালিয়াতি করেছেন।
নীরব মোদীর মামা মেহুল চোকসির গীতাঞ্জলি জেমসের বিরুদ্ধে পিএনবি জালিয়াতি কাণ্ডে সরাসরি জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। নীরব ও তাঁর মামা মেহুল পিএনবির ভিতরের লোক ভাড়িয়ে লেটার অফ আন্ডারটেকিং হাতিয়ে অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।
এতো গেল ব্যাঙ্কের ঋণে জালিয়াতির কথা। গীতাঞ্জলি জেমসের প্রাক্তন কর্মী বলছেন, নিজেদের হিরের ব্যবসাতেও মেহুল চোকসি দিনের পর দিন জালিয়াতি করেছেন।
সংস্থার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্তোষ শ্রীবাস্তবের অভিযোগ, গীতাঞ্জলি জেমসের মাধ্যমে কম দামের হিরে বেশি দামে, এমনকী নকল হিরেও বেচেছেন মেহুল চোকসি।
Around 2012-13 I observed there were huge discrepancies in the books of accounts & physical things, I raised these with #MehulChoksi but I was told to shut up & do my job, in fact the language was tu apna kaam kar salary le aur nikal: Santosh Srivastava, former employee of Choksi pic.twitter.com/VHaZtbanhF
— ANI (@ANI) 19 February 2018
শ্রীবাস্তবের দাবি, অনেক পরিমাণে হিরে যা ল্যাবে তৈরি হয়েছে তা আসল বলে চড়া দামে বিক্রি করেছেন মেহুল চোকসি। ব্র্যান্ড ভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে এভাবেই দিনের পর দিন গ্রাহকদের ঠকিয়ে গিয়েছেন মেহুল চোকসি।
সেই নকল হিরের শংসাপত্রও জাল উপায়ে বের করা হয়েছিল বলে দাবি প্রাক্তন কর্মী শ্রীবাস্তবের। শুধু তাই নয়, যখন তিনি জালিয়াতি জানতে পেরে মেহুল চোকসিকে সতর্ক করতে যান, তখন জানতে পারেন, তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত গোটা প্ল্যান। উল্টে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। বলা হয়, নিজের কাজ করতে, টাকা নিতে ও বাড়ি যেতে।
সন্তোষ শ্রীবাস্তব ২০০৭-২০১৩ সাল পর্যন্ত গীতাঞ্জলি জেমসে কাজ করেন। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ দিয়ে শেষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়ে যান তিনি। সংস্থায় গোলমাল দেখে শেষে হতোদ্যম হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন শ্রীবাস্তব।