কেন্দ্র পেশী শক্তি প্রদর্শনের খেলায় মেতেছে, ইয়াসিন মালিকের শাস্তি প্রসঙ্গে মত মুফতির
সদ্য ইয়াসিন মালিকের সাজা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী কাজে অর্থের যোগান দেওয়ার জন্য আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। প্রথমে বিশেষ আদালতের কাছে এনআইএ তাঁর মৃত্যু দণ্ডের দাবী জানিয়েছিল। তার আইনজীবী সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে বলে। সেটাই শেষ পর্যন্ত হল। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী ইয়াসিন মালিকের শাস্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
তিনি বলেছেন যে, "কেন্দ্র গায়ের জোর দেখিয়ে সব কিছু করতে যাচ্ছে। এটাই এই কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। এসব করে সমস্যার সমাধান হবে না এবং বরং বিষয় আরও জটিল করবে৷ জম্মু ও কাশ্মীর একটি রাজনৈতিক সমস্যা, এখানে অনেক লোককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেটা কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করেনি, এসব বিষয়কে আরও জটিল করে তুলেছে। আমি মনে করি পেশীবহুল নীতির মারাত্মক পরিণতি হবে, এটা কিছুর সমাধান করবে না। সমস্যা কিন্তু আরও বাড়িয়ে দেবে।"
পিডিপি প্রধান আরও বলেছেন যে, "সরকার যে পেশীবহুল নীতি গ্রহণ করেছে তা আমি বুঝতে পারছি। এটা সারা ভারত এবং কাশ্মীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে, পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।" মুফতি এও বলেছেন যে, তার বাবা মুফতি সৈয়দ যখন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, ইয়াসিন মালিক জেলে ছিল এবং তার বাবা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে বন্দুককে দূরে রেখে সরিয়ে সরকারের সাথে কথা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিল। পিডিপি প্রধান বলেন যে তার বাবা কাশ্মীরে যে কাজ করছিলেন তা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সাহায্য করেছিল এবং আজ পরিস্থিতির সম্পূর্ণ অবনতি হয়েছে।
তিনি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মাঝে ধর্মকে তুরুপের তাস হিসাবে কেন্দ্র ব্যাবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন । এভাবেই মেহবুবা মুফতি বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকেও আক্রমণ করেন। বলেন যে, "তাদের দেশের মানুষের কাছে কিছু বলার নেই , কিছু করার নেই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। তাই হিন্দু-মুসলিম সমস্যা তৈরি করছে। তারা দেশের সমস্ত মসজিদ দখল করতে চায়"।
প্রসঙ্গত , তার সাজা ঘোষণার আগে ইয়াসিন মালিক আদালতকে বলেছিল যে তার বিরুদ্ধে ১৬ (সন্ত্রাসবাদী আইন), ১৭ (সন্ত্রাসবাদী আইনের জন্য তহবিল সংগ্রহ), ১৮ (সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র) এবং ২০(সন্ত্রাসবাদী দলের সদস্য হওয়া) সহ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সে করছে না। আদালত এর আগে ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাতে, শাব্বির শাহ, মাসরাত আলম, ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ, নঈম খান, আকবর খান্ডে, রাজা মেহরাজউদ্দিন কালওয়াল সহ কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জশিট গঠন করা হয়।