ইদের আগে ঝটকা খেলেন মেহবুবা মুফতি! আরও তিন মাস বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ল পিডিপি নেত্রীর
ওমর আবদুল্লাহ ও ফারুক আবদুল্লাহ মুক্তি পেতেই মনে করা হয়েছিল যে এবার হয়ত মুক্তি পেতে চলেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। এর আগে কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্ত থাকায় ওমর ও ফারুক মুক্তি পেয়েছলিন। তবে সেই পথে হেঁটে মেহবুবাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। বরং তাঁর বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানো হল আরও তিন মাস।

২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট থেকে বন্দিদশা কাটাচ্ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। সেই বন্দিদশা থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তি পান ফারুক আবদুল্লাহ। ১৩ মার্চ ফারুকের মুক্তির কয়েকদিন পরেই মুক্তি পান তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ। আর এই আবহে প্রশ্ন উঠতে থাকে মেহবুবা কবে মুক্তি পেতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেই গৃহবন্দি করা হয়েছিলেন মেহবুবা সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন তাবড় নেতাদের। সেদিনটিকে দেশের গণতন্ত্রের একটি কালো দিন বলে আখ্যা দিয়ে টুইটারে সরব হয়েছিলেন মেহবুবা। তারপর বিভিন্ন সময় কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন সমেত কাশ্মীরীদের গতিবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে। পাশাপাশি বিজেপি জওয়ানদের ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।
অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর মাধ্যমেই জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পর প্রথম সাংসদীয় অধিবেশনেই ৩৭০ ধারা সহ অনুচ্ছেদ ৩৫এ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। এই সিদ্ধান্তের পর জম্মু ও কাশ্মীরকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার বিলটিও পাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই ঘটান বর্ষপূর্তির আগে অবশ্য এদিন মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের অপর এক রাজনৈতিক নেতা, সাজ্জাদ লোন।

করোনা আক্রান্ত সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী, দেখভালের জন্য লোক চাই, ফেসবুেক পোস্ট মেয়ে ঊষসীর