মিথ্যা বলছে প্রশাসন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দিনই কাশ্মীর তোপ মেহবুবার
কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে জলঘোলা করছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। এরকম অভিযোগ আনলেন পিডিপি প্রধান তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি । আজ এই বিষয়ে টুইট করে মেহবুবা লেখেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশাসনের প্রতিটি দাবি মিথ্যা। পাশাপাশি মেহবুবা আরও দাবি করেন, কাশ্মীরীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখাতে যেসব রাজনৈতিক নেতাদের মুক্ত করার কথা সরকার বলেছে তাঁদেরকে আগে গ্রেফতারও করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেই গৃহবন্দি করা হয়েছিল মেহবুবা সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন তাবড় নেতাদের। সেদিনটিকে দেশের গণতন্ত্রের একটি কালো দিন বলে আখ্যা দিয়ে টুইটারে সরব হয়েছিলেন মেহবুবা।
তারপর বিভিন্ন সময় কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন সমেত কাশ্মীরীদের গতিবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে। পাশাপাশি বিজেপি জওয়ানদের ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।
অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর মাধ্যমেই জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পর প্রথম সাংসদীয় অধিবেশনেই ৩৭০ ধারা সহ অনুচ্ছেদ ৩৫এ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। এই সিদ্ধান্তের পর জম্মু ও কাশ্মীরকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার বিলটিও পাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সিদ্ধান্তের ৬৯ দিন পর আজ এই প্রথম পোস্টপেড ফোন চালু করা হয় কাশ্মীরে। তবে নিষেধাজ্ঞা ওঠার দিনই মেহবুবার কাশ্মীর প্রশাসনকে এই তোপ দাগা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[ ফোন ব্যবহার করলেই কি জঙ্গি! প্রশ্ন তুলে দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল]