কর্ণাটকে রাজ্যপালের 'কারসাজি'! রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদ মেঘালয় কংগ্রেসের
কংগ্রেস ও জেডিএস-এর গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালার বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে তারা।
কংগ্রেস ও জেডিএস-এর গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালার বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে তারা। এনিয়ে রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভও দেখায় তারা।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো প্রতিবাদ পত্রে মেঘালয়ের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও সেখানে কংগ্রেসকে ডাকা হয়নি। রাজ্যপাল গঙ্গা প্রসাদের মাধ্যমে এই প্রতিবাদপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। যদি একসঙ্গে থাকা দুটি রাজনৈতিকদলের গরিষ্ঠতা প্রমাণিত হয়, সেসময় রাজ্যপালের সামনে সরকার গঠনের জন্য সেই জোটকে ডাকা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় থাকে না।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক ফ্লোর টেস্ট লাইভ: সংখ্যার অভাব! পদত্যাগ করতে চলেছেন কি ইয়েদুরাপ্পা, নয়া জল্পনা]
মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ২০১৭-র মার্চের গোয়ার ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেস ১৭ টি আসনে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল। বিজেপি জিতেছিল ১২ টি আসন। কিন্তু তারা মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সঙ্গে জোট করায় তাদের সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
একই মাসে মনিপুরেও একই ঘটনা ঘটে।
২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে মেঘালয়েও একই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কেআর নারায়ণন একই তত্ত্বে ১৯৯৮-এর ১২ মার্চ অটলবিহারী বাজপেয়ীকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।