বাংলাদেশের নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট! যা বললেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশি নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস যেন রাজনীতি না করে। এমনটাই আবেদন জানালেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস যেন রাজনীতি না করে। এমনটাই আবেদন জানালেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। বিধানসভায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষ এবং জমি রক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
এর আগে বাংলাদেশের নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস। বিধানসভায় সেই বিষয়টি নিয়ে উত্তর দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এটা একটা ধারনা মাত্র। কোনও প্রাথমিক প্রস্তাবও নয়। সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধীরা বিষয়টিকে বড় করে দেখাচ্ছে। গণতন্ত্রে সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মায়ানমার এবং চিনের মতো দেশগুলির ব্যবসায়িক যোগাযোগ থাকায় দেশভাবের আগে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে মাথাপিছু আয় ছিল সব থেকে বেশি। এমনটাও উল্লেখ করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী।
এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কেন্দ্রের পূর্বে তাকাও নীতির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাতটি আশিয়ান দেশের মধ্যে যোগাযোগের নিরিখে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এবং অসমের গুয়াহাটির গুরুত্ব বাড়বে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। এলাকায় বাণিজ্য বাড়লে যুবকরা কাজ খুঁজতে নয়, কাজ দিতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কনরাড সাংমা।
মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পেরে বিরোধীরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে।