সমালোচকদের তীব্র আক্রমণ, কর্মসমিতির বৈঠক থেকেই নতুন রণকৌশল সোনিয়ার
সমালোচকদের তীব্র আক্রমণ, কর্মসমিতির বৈঠক থেকেই নতুন রণকৌশল সোনিয়ার
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বা কর্মসমিতির বৈঠক(CWC Meeting) নিয়ে এদিন সকাল থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। এমনকী শনিবার বৈঠকে লখিমপুর কাণ্ড, আসন্ন নির্বাচন ও দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। পাশাপাশি কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। যদিও বৈঠকের শুরুতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন সোনিয়া গান্ধী। পূর্ণ সময়ের কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নিজের নাম নিজেই ঘোষণা করেন দেন তিনি।
কারা কারা ছিলেন বৈঠকে
অন্যদিকে সোনিয়ার সঙ্গেই এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও (Priyanka Gandhi)। এদিকে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরই দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলে রাহুল গান্ধী। এরপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সোনিয়া গান্ধী।সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর ওই দায়িত্ব সামলানোর কথা ছিল বলে জানা যায়।
সমালোচকদের কড়া নিশানা
এদিকে এদিনের বৈঠকের শুরুতেই সমালোচকদের কড়া নিশানা করতে দেখা যায় সোনিয়াকা। তীব্র সমালোচনা করেন কবিল সিব্বাল সহ জি-২৩ শিবিরের নেতাদের। এদিকে কংগ্রেসে নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই মাথাচাড়া দিচ্ছিল। এমনকী কার্যকরি নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল বারেবারেই। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাহুল-সোনিয়ার ভূমিকাও। তাই সুযোগ পেয়ে শুরুতেই জি-২৩ নেতাদের একহাত নিতে দেখা যায় সোনিয়াকে।
কী বললেন সোনিয়া
এদিকে এদিন বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়াকে বলতে শোনা যায়, "আমিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী। গত দু'বছরে কৃষক আন্দোলন, করোনাকালে সময়ে ত্রাণ দুর্নীতি, দলিত ও সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন, মূল্যবৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িকতা সহ একাধিক বিষয়ের প্রতিবাদে কংগ্রেস আন্দোলন সংগঠিত করেছ। আমি সব ক্ষেত্রেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। সমমনস্ক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখার কাজও করেছি। জাতীয় হোক বা রাজ্য স্তর, এমনকী সংসদীয় বিষয়ের কাজও দেখভাল করেছি।"
আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখেই নতুন কৌশল
এদিকে বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যে ভোট। এমনকী আর দুবছরের মাথায় লোকসভা ভোটও রয়েছে। তাই এখন থেকেই নতুন করে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস। এমনকী জিগনেশ মেবানি, কানাহাইয়া কুমারদের মতো তরুণ মুখকেও দলে টেনেছে রাহুল ব্রিগেড। এমতবাস্থায় শনিবারের কর্ম সমিতির বৈঠক থেকেই আগামী সাংগঠনিক নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড, এই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার সোনিয়ার নয়া কৌশলে তাই যেন কার্যত সত্যি হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।