পিছিয়ে গেল রাজ্যপালের সঙ্গে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস প্রতিনিধিদের বৈঠক
পিছিয়ে গেল রাজ্যপালের সঙ্গে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের বৈঠক। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় এই সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারিত করা হয়েছিল। তিন দলের প্রতিনিধিরা মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলত বলে জানিয়েছিল।
কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে যোগ শিবসেনার
প্রথমে জানা গিয়েছিল যে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সমস্যা তুলে ধরতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন কংগ্রেস ও এনসিপির প্রতিনিধিরা। এরপর খবর আসে সেই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন শিবসেনা প্রতিনিধিরাও। প্রসঙ্গত, সেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি রূপ দেওয়ার পরেই এই বৈঠকে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
তৈরি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি
জোটের অন্যতম রূপকার শারদ পাওয়ারের দাবি কোনও মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, পুরো সময় ক্ষমতায় থাকবে মহারাষ্ট্রের এই জোট। তিন দল ইতিমধ্যেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করে ফেলেছে। যাতে কৃষক ও যুবদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সেখানে হিন্দুত্বের কোনও ইস্যু রাখা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সনিয়া গান্ধী এবং শারদ পাওয়ার মিলিত হবেন এই সপ্তাহের শেষে। তারপরেই চূড়ান্ত ঘোষণা করা হতে পারে। ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পুরো পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবে শিবসেনা
এদিকে সূত্রের খবর, তিন দলের জোট সরকারে পুরো পাঁচ বছরের জন্য শিবসেনা তাদের দলের মুখ্যমন্ত্রী পাবে। সেই ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও শিবসেনাকে একটি করে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে সেনাকে। মন্ত্রিসভায় শিবসেনার ১৬জন, এনসিপির ১৪জন ও কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রী থাকবেন।
সরকার গঠন করবে তারাই, দাবি বিজেপির
যদিও বিজেপি ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, মহারাষ্ট্রে তারাই সরকার গঠন করবে। তবে কীভাবে ২৮৮ সদস্যের বিধানসভা ১৪৫ জনের সমর্থন যোগার করা যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি তারা। তবে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, একক বৃহত্তম দল তারা। নির্দলদের সমর্থন নিয়ে তাদের সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ১১৯-এ। এদিকে বিজেপির এই দাবির পর সেনার তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধআয়ক কেনা বেচার অভিযোগ উঠেছে।