বিচার প্রক্রিয়ার রিয়েল টাইম আপডেট প্রকাশ করতে পারে সংবাদমাধ্যম, কমিশনের আবেদন খারিজ করে জানাল শীর্ষ আদালত
আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন বিচারপতিরা যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ করেন তা কখনই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয়। সম্প্রতি এমনই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই আর্জি খারিজ করে দিলই শীর্ষ আদালত।
আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন বিচারপতিরা যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ করেন তা কখনই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয়। সম্প্রতি এমনই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই আর্জি খারিজ করে দিলই শীর্ষ আদালত। একই সগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল যে, বিচারপ্রক্রিয়ার তথ্য প্রকাশ করার স্বাধীনতা রয়েছে সংবাদমাধ্যমের।
এমনকি বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণও প্রকাশ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কমিশন।
এই মামলায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা আগেই বলেছিলেন বিচারপতি। তবে রায় সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। সামঞ্জস্য রেখে রায় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এবার সাংবিধানিক স্বাধীনতার ভিত্তিতেই আদালতে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতিরা।
এ দিন শীর্ষ আদালতের তরফে উল্লেখ করা হয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ভিত্তিতেই আদালতের কার্যক্রম প্রকাশ করার স্বাধীনতাও রয়েছে সংবাদমাধ্যমের।
এ দিন বিচারপতিরা উল্লেখ করেন, 'আদালতে যে কোনও আলোচনাই জনমানসে প্রভাব ফেলে করা হয়, তাই সেই আলোচনা মানুষের জানা উচিত।'
বিচার প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিং-এর কথাও এ দিন উল্লেখ করেন বিচারপতি। বিচারপতি ডি চন্দ্রচূড় বলেন, 'ইন্টারনেট কোর্ট রুম রিপোর্টিংয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে, এখন লোকেরা তথ্যের জন্য ইন্টারনেটে মনোযোগ দেয়।' আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
বিচারপতি জানান, আন্তর্জাতিক আদালত বিচার প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছে, গুজরাট হাইকোর্টও অনুমতি দিয়েছে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, বিচারের ক্ষেত্রে সংযম রাখা জরুরি। বিশেষত যে ক্ষেত্রে কথার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে, সেই ধরনের মন্তব্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি বলে উল্লেখ করল শীর্ষ আদালত। গত ২৬ এপ্রিল কোভিড সংক্রমণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে।
শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে।
যদিও তামিলনাড়ুতে এক দফায় বিধানসভা ভোট শেষ করা হয়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরও কেন কমিনশ প্রচার বা জমায়েতে রাশ টানল না, সেই প্রশ্ন তুলে কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছিলেন, "ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এককভাবে দায়ী নির্বাচন কমিশন। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করা যায়।"