ইরাকে মিলল গণকবর, নিখোঁজ ভারতীয়দের ডিএনএ নমুনা পাঠাচ্ছে বিদেশমন্ত্রক
২০১৪ সাল থেকে ইরাকে গিয়ে নিখোঁজ ৩৯ জন ভারতীয় ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করল বিদেশমন্ত্রক, মসুল ও রাক্কা শহরে মেলা গণকবরে ওই ভারতীয়দের দেহ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতেই এই নমুনা সংগ্রহ
২০১৪ সাল থেকে ইরাকে গিয়ে নিখোঁজ ৩৯ জন ভারতীয় ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করল বিদেশমন্ত্রক। মসুল ও রাক্কা শহরে সম্প্রতি পাওয়া গণকবরে ওই ভারতীয়দের দেহ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতেই এই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। অবশ্য সরকারিভাবে বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সাল থেকে নিখোঁজ ৩৯ জনের বেশিরভাগই পাঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গুরদাসপুর, লুধিয়ানা, জলন্ধর থেকে তাঁদের পরিবারকে তেহসিলদারের অফিসে ডেকে রক্তের নমুনা জমা দিতে হয়েছে। এই নমুনা সম্ভবত ইরাকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিখোঁজদের মধ্যে একজনের আত্মীয়। গত জুন মাসে বিদেশে গিয়ে নিখোঁজ ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে লোকসভায় বিবৃতি দেওয়ার পরই নিখোঁজদের পরিবারের রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
২০১৪ সালে ইরাকের মসুল শহরে বেশ কয়েকজনকে ইসলামিক অপহরণ করার পরই এই গণহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই ৩৯ জন ভারতীয় শ্রমিক তখন ইরাকেই একটি বাড়ি তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। পরে হরজিৎ মাসিহ নামে একজন আহত অবস্থায় ইরাক থেকে ফিরে এসে জানান, তাঁকে ও অন্যান্যদের অপহরণ করে বন্দি করে রেখেছিল জঙ্গিরা। তিনি কোনও রকম পালিয়ে এসেছেন, কিন্তু বাকিরা কোথায় তা তাঁর জানা নেই।
তারপর থেকেই ইরাক সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিখোঁজদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি ইরাকের মসুল ও রাক্কা শহর পুরোপুরি আইএস দখলমুক্ত হয়েছে। এরপরই সেখানে বেশ কয়েকটি গণকবরের হদিশ মেলে। এই গণকবরেই বাকি ৩৮জন ভারতীয়র দেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন ডিএনএ পরীক্ষার ফলই তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায়।