মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুঙ্কার মায়াবতীর, বিজেপি বিরোধিতায় দলবদল
উত্তরপ্রদেশের মহাজোট হয়নি। মায়াবতী-অখিলেশের জোটে স্থান হয়নি কংগ্রেসের। তবে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিয়ে রেখেছে বিএসপি।
উত্তরপ্রদেশের মহাজোট হয়নি। মায়াবতী-অখিলেশের জোটে স্থান হয়নি কংগ্রেসের। তবে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিয়ে রেখেছে বিএসপি। লোকসভা ভোট চলাকালীন এবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। মধ্যপ্রদেশে বিএসপি জোট প্রার্থী কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করায় মায়াবতী হুমকি দেন কংগ্রেসকে।
সোমবার কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোতিরিাদিত্য সিন্ধিয়ার দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেন গুনা লোকসভা আসনের এসপি-বিএসপি জোট প্রার্থী লোখেন্দ্র সিং রাজপুত। এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মায়াবতী। মঙ্গলবার এই ঘটনার জেরে কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া হুমকি দেন তিনি।
মায়াবতীর অভিযোগ, কংগ্রেসও সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। বিজেপির এতদিন যা করে এসেছে, কংগ্রেসও সেই পথেই হাঁটছে। তাদের চাপের কাছে মাথা নত করে দল ছেড়ে দিতে হচ্ছে আঞ্চলিক দলের প্রার্থীদের। তাঁর কথায়, আমাদের প্রার্থীকে রীতিমতো ভয় দেখানো হয়েছে। হুমকি দিয়ে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
মায়াবতী বলেন, জোর খাটিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। গুণা আসন থেকে বিএসপি নিজের প্রতীকেই লড়াই করবে। পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে মাশুল দিতে হবে। মধ্যপ্রদেশ সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে লোখেন্দ্র সিংয়ের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। জ্যোতিরিদিত্য পাশে গলায় মালা পরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কংগ্রেসে যোগদানের সময়ের এই ছবি পোস্ট করে জ্যোতিরিাদিত্য সিন্ধিয়া টুইট করেছেন, "যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লোখেন্দ্র সিংকে আমাদের কংগ্রেস পরিবারে স্বাগত জানাই। কংগ্রেসে সাহায্য করতেই তিনি দলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮-র ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ১১৪টি আসন পেয়ে সরকার গড়ে কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১০৯ টি আসন। কংগ্রেসের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। ২৩০ আসনবিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সরকার গড়তে কংগ্রেসের প্রয়োজন ছিল ১১৬টি আসন। মায়াবতী, অখিলেশ এবং চারজন নির্দল বিধায়ক তাদের সমর্থন করে সেই সমস্যার সমাধান করে দেন। এখন মায়াবতী সমর্থন প্রত্যাহার করলে কংগ্রেস সরকার হয়তো পড়ে যাবে না, কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে পারে।