গঠনের দিনেই 'ভাঙনে'র ছবি! সরকারকে সমর্থন করলেও 'ভিন্ন' পথে মায়াবতী
জানা গিয়েছে মায়াবতী তিন রাজ্যের কোনওটিরই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন না।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে অন্তত সামনে থেকে কাছাকাছি আসতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস এবং মায়াবতীকে। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে সরকার গঠনে কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। এই পর্যন্তই। জানা গিয়েছে মায়াবতী তিন রাজ্যের কোনওটিরই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন না।
৩ মুখ্যমন্ত্রীর শপথ
সোমবারই তিন রাজ্যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সকাল ১০ টায় জয়পুরের ঐতিহাসিক অ্যালবার্ট হলে শপথ নেবেন অশোক গেহলট। ভোপালের লাল প্যারেড গ্রাউন্ডে দুপুর ১.৩০-এ শপথ নেবেন কমলনাথ। রায়পুরে বিকেল ৪.৩০-এ শপথ নেবেন ভূপেশ বাঘেল।
জোটের শেষ ছবি
তবে
কোনও
অনুষ্ঠানেই
কর্ণাটকের
মুখ্যমন্ত্রী
এইচডি
কুমারস্বামীর
শপথগ্রহণের
মতো
বিরোধী
জোটের
ছবি
দেখতে
পাওয়া
যাবে
না।
মায়াবতীর
মতোই
কোনও
শপথ
গ্রহণ
অনুষ্ঠানে
থাকছেন
না
পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং
উত্তর
প্রদেশের
সমাজবাদী
নেতা
অখিলেশ
যাদব।
পারিবারিক কারণে অনুপস্থিত মমতা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পারিবারিক কারণেই তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তাঁর দলের তরফে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। তবে উত্তর প্রদেশের দুই নেতা-নেত্রী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানগুলিতে অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি বলেই জানা গিয়েছে।
মায়াবতী শরণে কংগ্রেস
আসন কম হওয়ায় গত সপ্তাহে দুই রাজ্যে সমস্যায় পড়েছিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতা কমলনাথ মায়াবতীর সঙ্গে কথা বলেন। যদিও তিন রাজ্য আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের ওপর প্রবল ক্ষুব্ধ মায়াবতী। কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পূর্ববর্তী জোট গঠনেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
এই তিনজনকে বাদ দিলে, চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লা, শারদ পাওয়ার, স্ট্যালিনকে সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখতে পাওয়া যাবে বলে অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসের তরফে আম আদমি পার্টির কেজরিওয়ালকেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদে আসীন হওয়ার পর থেকে কংগ্রেসের প্রতি শীতল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে তৃণমূল নেত্রী।
( প্রতীকী ছবি সৌজন্য: এএনআই ও পিটিআই)