মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না মায়াবতীর, দৌড়ে এগিয়ে গেল বিজেপি
যে মধ্যপ্রদেশে বিএসপির সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ে বিজেপিকে সরানোর স্বপ্ন দেখছিল কংগ্রেস, সেই স্বপ্নেও জল ঢেলে একা ভোটে লড়ার ঘোষণা করে দিলেন মায়াবতী।
ছত্তিশগড়ে আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না বেঁধে কংগ্রেস ত্যাগী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা ঘোষণা করে দিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তবে আঘাতের এখানেই শেষ ছিল না। যে মধ্যপ্রদেশে বিএসপির সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ে বিজেপিকে সরানোর স্বপ্ন দেখছিল কংগ্রেস, সেই স্বপ্নেও জল ঢেলে একা ভোটে লড়ার ঘোষণা করে দিলেন তিনি।
অর্থাৎ ২৩০ বিধানসভার মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে মায়াবতীর দল একাই লড়তে চলেছে। এর ফলে বিজেপির মস্ত সুবিধা হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বিএসপি কংগ্রেস জোট বাঁধলে বিজেপি নিঃসন্দেহে চাপে পড়ত। তবে এদিন বিএসপির মধ্যপ্রদেশের প্রধান রাম আঁচল সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, একাই ভোটে লড়বে বিএসপি।
এর পাশাপাশি এদিন ২২টি আসনে প্রার্থীর নামও বিএসপি ঘোষণা করে দিয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে দলের চার বিধায়কও রয়েছেন।
অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ে মোট ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিএসপি ৩৫টি আসনে ও ৫৫টি আসনে লড়বে জনতা কংগ্রেস। যদি এই জোট নির্বাচনে জেতে তাহলে অজিত যোগী মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হচ্ছে না জোট, দুই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে জোড়া ল্যাং মায়াবতীর]
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে কয়েকটি পকেটে অবশ্যই বিএসপি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। বিশেষ করে চম্বল ও বিন্ধ্য প্রদেশ এলাকায় বিএসপি বেশ শক্তিশালী। শেষ তিনটি নির্বাচনে কংগ্রেসকে হঠিয়ে বিজেপিকে এই অঞ্চলে টক্কর দিয়েছে বিএসপিই। কারণ দলিত-আদিবাসী অধ্যুসিত এই এলাকাই বিএসপি-র ভোটব্যাঙ্ক। মধ্যপ্রদেশে সবমিলিয়ে বিএসপি-র ভোট শেয়ার ছিল ২০০৩ সালে ৭.৩ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৯ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ৬.৩ শতাংশ। ফলে এবারও বিএসপি বিজেপি বা কংগ্রেসের যাত্রা ভঙ্গ করতে প্রস্তুত।