মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেসের জয়ের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে তৈরি মায়াবতীর বিএসপি
মধ্যপ্রদেশে অন্য ফ্যাক্টরও রয়েছে। তা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না। বহুজন সমাজ পার্টি মধ্যপ্রদেশে সেরকমই একটি ফ্যাক্টর।
মধ্যপ্রদেশে মূল লড়াই বিজেপি বনাম কংগ্রেসের। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস সেরাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। শেষ ১৫ বছরে বিজেপি পরপর তিনবার ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে। তাই প্রথম থেকেই দুই প্রধান দলেরই লড়াই চলেছে ভোট যুদ্ধে।
এর মাঝে অন্য ফ্যাক্টরও রয়েছে। তা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না। বহুজন সমাজ পার্টি মধ্যপ্রদেশে সেরকমই একটি ফ্যাক্টর। মায়াবতী কোনওদিন ভোটে জিতে হয়ত মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসবেন না, তবে কয়েকটি পকেটে অবশ্যই বিএসপি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।
বিশেষ করে চম্বল ও বিন্ধ্য প্রদেশ এলাকায় বিএসপি বেশ শক্তিশালী। শেষ তিনটি নির্বাচনে কংগ্রেসকে হঠিয়ে বিজেপিকে এই অঞ্চলে টক্কর দিয়েছে বিজেপিই। কারণ দলিত-আদিবাসী অধ্যুসিত এই এলাকাই বিএসপি-র ভোটব্যাঙ্ক। চম্বলে ২০০৩ সালে ১৩.৭ শতাংশ, ২০০৮ সালে ২০.৪ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ১৫.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এদিকে বিন্ধ্য প্রদেশ এলাকায় শেষ তিনটি ভোটে যথাক্রমে ১৪.৩ শতাংশ, ১৪.৭ শতাংশ ও ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশে সবমিলিয়ে বিএসপি-র ভোট শেয়ার ছিল ২০০৩ সালে ৭.৩ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৯ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ৬.৩ শতাংশ। ফলে এবারও বিএসপি বিজেপি বা কংগ্রেসের যাত্রা ভঙ্গ করতেই পারে।
মায়াবতী হয়ত মধ্যপ্রদেশে কিংমেকার হবেন না। কংগ্রেস আসন ভাগাভাগির প্রস্তাব দিলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের শক্তি যে অঞ্চলে বেশি সেই অঞ্চলে তাদের বেশি আসন দিলে তবেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধবে বিএসপি। অর্থাৎ না পোষালে জোট হবে না। এমন হলে বিপদে পড়বে কংগ্রেসই। কারণ কংগ্রেসের ভোট কেটেই পকেট ভরে মায়াবতীর। সেখানে আলাদা লড়লে সুবিধা হবে বিজেপির। এই অবস্থায় বিএসপি-র সিদ্ধান্তের উপরে অনেককিছু নির্ভর করছে।