'স্বীকার'-এ নারাজ মায়াবতী! এসপি-বিএসপি 'সমঝোতা' এবার রাজ্যসভা-বিধান পরিষদেও
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কোনও রকম রাজনৈতিক সমঝোতা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন বহুজন সমাজপার্টির প্রধান মায়াবতী। তবে রাজ্যসভা-বিধান পরিষদে সমঝোতার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কোনও রকম রাজনৈতিক সমঝোতা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন বহুজন সমাজপার্টির প্রধান মায়াবতী। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর আসনে উপনির্বাচন হবে ১১ মার্চ। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৪ মার্চ।
মায়াবতীর দাবি, আগের ঘোষণা মতোই বিএসপি নেতা-কর্মীরা বিজেপিকে হারাতে উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ভুলের কিছু নেই। দাবি করেছেন মায়াবতী।
বিএসপির গোরক্ষপুর জোনের কো-অর্ডিনেটর ঘনশ্যাম খারোয়ার রবিবার জানিয়েছিলেন, তাঁর দল দুই আসনেই সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করবে।
মায়াবতী জানিয়েছেন, কর্নাটককে বাদ দিলে, কোনও রাজ্যেই বিএসপির সঙ্গে কোনও দলের কোনও রকমের সমঝোতা নেই। উত্তর প্রদেশেও এসপির সঙ্গে বিএসপির কোনও সমঝোতা হয়নি।
তবে সামনের রাজ্যসভা নির্বাচনে বিএসপি এবং এসপির বিধায়কদের মধ্যে 'ভোট ট্রান্সফার' হবে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন মায়াবতী। কিন্তু বিষয়টিকে রাজনৈতিক সমঝোতা বলতে নারাজ তিনি। ২৩ মার্চ রাজ্যসভার ৫৮ টি আসনে নির্বাচন হবে। যার মধ্যে উত্তর প্রদেশে রয়েছে ১০ টি আসন।
বিএসপির যা আসন সংখ্যা, তাতে কোনও সদস্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাতে পারবে না তারা। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির যা সদস্য সংখ্যা, তাতে দুটি আসনে জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য নেই তাদের। ফলে দ্বিতীয় আসনটির জন্য বিএসপির সঙ্গে সমঝোতায় গিয়েছে এসপি। বিএসপিকে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সাহায্যের পাল্টা হিসেবে, বিধান পরিষদের নির্বাচনে বিএসপি এসপিকে সাহায্য করবে। জানিয়েছেন মায়াবতী।