মহাজোটেরই বার্তা দিল মায়া-অখিলেশের আসনরফা! ২০১৯-এর মহাযুদ্ধে ‘অন্য’ অঙ্ক
গো-বলয়ের তিন রাজ্যে বিরাট জয়ের পর যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বে মোদী বিরোধী মহাজোট-প্রক্রিয়ায় গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল, তখন উল্টো স্রোত বইতে শুরু করেছে দিল্লির রাজনীতিতে।
গো-বলয়ের তিন রাজ্যে বিরাট জয়ের পর যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বে মোদী বিরোধী মহাজোট-প্রক্রিয়ায় গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল, তখন উল্টো স্রোত বইতে শুরু করেছে দিল্লির রাজনীতিতে। কংগ্রেসকে অন্ধকারে রেখে উত্তরপ্রদেশে আসন সমাঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গেলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আসন রফার অন্দরেই লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃত মহাজোট-বার্তা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়াবতী ও অখিলেশের মধ্যে আসন রফা একপ্রকার পাকা হয়ে গিয়েছে। পিসি-ভাইপোর এই জোটে রাখা হয়েছে অজিত সিংয়ের আরএলডিকেও। তবে এই আসন রফার ব্যাপারে রাহুলকে অন্ধকারে রাখলেও, তাঁর আমেথি কেন্দ্র ও সোনিয়া গান্ধীর রায়বেরিলি কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেওয়া হবে না। অর্থাৎ দুটি কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এখানেই লুকিয়ে রয়েছে মহাজোটের অঙ্ক। কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই এই বিজেপি বিরোধী বার্তা দিয়ে রাখলেন মায়াবতী-অখিলেশ। অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসকে ছাড়া হল মাত্র দুটি কেন্দ্র। যে দুটি কেন্দ্র রাহুল ও সোনিয়ার জন্য বরাদ্দ। এখনও এই দুই কেন্দ্রে গান্ধী পরিবারই শেষ কথা।
বিশেষ সূত্রের খবর, বসপা ৩৮টি ও সপা ৩৭টি আসনে লড়তে চায় উত্তরপ্রদেশে। আর দুটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখে, বাকি তিনটি আসন তারা দিতে চায় আরএলডিকে। তবে এখনই এই ঘোষণা হচ্ছে না। মায়াবতীর জন্মদিনে এই আসন রফার ঘোষণা করা হতে পারে। কংগ্রেস অবশ্য এই আসন রফাকে নিছক জল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মোদীকে দিল্লির তখত থেকে সরাতে উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এ রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সবথেকে শক্তিশালী দুই দল হল অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতীর বহুজন সমাজবাজী পার্টি। বিগত নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে- এই দুই দল এক হলেই বিজেপি হার অবধারিত। সেই কারণেই রাহুল গান্ধী তৎপর সপা-বসপাকে এক ছাতার তলায় আনতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। রাহুল বা কংগ্রেসকে আসনরফায় অন্ধকারে রাখা হলেও, মহাজোট হওয়ায় কার্যসিদ্ধি হবে বলেই বিশ্বাস।