পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপি, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণ্য’ রাজনীতির অভিযোগ মায়বতীর
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতির অভিযোগে এবার বিজেপি, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল মায়বতীকে। বুধবার বিএসপি প্রধান মায়াবতী কংগ্রেস ও বিজেপি-র তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে এই দুটি দলই অহেতুক রাজনীতি করছে।”

বাসের তালিকায় বেশিরভাই দু-চাকার যান ?
যদিও গতকালই শোনা যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কংগ্রেসের ১০ হাজার বাসকে পরিবহনের অনুমতি দিতে চলেছে যোগী সরকার। যদিও পরে কংগ্রেসের তরফে দেওয়া বাসের তালিকা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেখানে বেশিরভাগই মোটর বাইক ও একাধিক চার চাকার প্রাইভেট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে বলে জানানো হয়।

অভিযোগ খারিজ কংগ্রেসের
একইসাথে এই ঘটনার পরেই শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক চাপানৌতর। এর আগেই একাধিক সূত্রে জানা যায় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অনুরোধ মেনেই কংগ্রেসকে ১০ হাজার বাস চালানোর অনুমতি দিয়ে যোগী সরকার। কিন্তু একাধিক শিবির থেকে অভিযোগ আসে রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশ্যেই ভুয়ও বাসের তালিকা দিয়েছিল কংগ্রেস। যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে কংগ্রেস। তারা বর্তমানে প্রতিটি বাসের বৈধ নথিপত্র ও বাস গুলির বাস্তবিক উপস্থিতি যাচাইয়ের দাবি তুলেছে।

সম্মূখ সমরে কংগ্রেস-বিজেপি
বর্তমানে অভিবাসীদের জন্য বাসের ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার সম্মূখসমরে নেমেছে বলেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিএসপি-র এই বর্ষীয়ান নেত্রীকে। পাশাপাশি তার দল বিএসপি কোনও রকম আত্মপ্রচার ছাড়াই বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরার কাজ সম্পন্ন করছে বলেও এদিন জানান উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ
এদিন কংগ্রেস বিজেপিকে আক্রামণ করে পর পর একাধিক টুইট করতে দেখা যায় মায়াবতীকে। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, "বিগত কয়েকদিন যাবৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বিশেষত বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর রাজনীতির খেলা চলছে। সব জেনে বুঝে আসল পরিস্থিতির উপর থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই কী এই চক্রান্ত ? "

আম্ফান আছড়ে পড়ার আগে 'বিকট শব্দ' দেশের প্রযুক্তিনগরীতে! রহস্য-আতঙ্ক ক্রমশ ঘনীভূত