চরম জলকষ্টে হাহাকার তামিলনাড়ুতে, বিক্ষোভে উত্তাল চেন্নাই
জল সংকট চরমে পৌঁছেছে গোটা তামিলনাড়ুতে। চেন্নাইয়ের অবস্থা আরও দুর্বিসহ। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জলকষ্টের কারণে। তার উপরে এডিএমকে সরকার কিছুতেই মানতে চাইছেন না জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কেরল জল দিয়ে সাহায্য করতে চাইলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে পালানিস্বামী সরকার।

এই নিয়ে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল জনমানসে। সোমবার তা চরমে ওঠে। ডিএমকে-র নেতৃত্বে জলের দাবিতে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানু্ষ। কলসি, জালা, বালতি, মগ নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্বদেন ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্টালিন।
ডিএমকে-র অভিযোগ রাজ্যের মানুষ তীব্র জলকষ্টে রয়েছে জেনেও কী এডিএমকে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। স্টালিন কার্যত বোঝাতে চেয়েছেন রাজ্যবাসীর কষ্ট নিবারণে একেবারেই ব্যর্থ পালানিস্বামী সরকার। এবারের লোকসভা ভোটের পর অনেকটাই শক্তিশালী ডিএমকে। বিধানসভা নির্বাচন হলে যে ডিএমকেই সরকার গড়বে এনিয়ে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যের এই দরাবস্থার কথা রাজধানীতে পৌঁছে গিতে সোমবার সংসদে তামিলনাড়ুর জলকষ্ট নিয়ে নোটিস দিয়েছেন ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু। একদিকে দিল্লি অন্যদিকে রাজ্যে জলকষ্ট নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সরব হয়েছে ডিএমকে। স্টালিন অভিযোগ করেছেন, পালানিস্বামী সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভেল্লোর থেকে ১০,০০০ লিটার জল নিয়ে এসে চেন্নাই সহ রাজ্যের অধিকাংশ এলাকার জলসংকট দূর করবেন। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করে উঠতে পারেনি তাঁরা।
জলসংকটে এমনই অবস্থা চেন্নাইয়ের যে অধিকাংশ হোটেল, গেস্ট হাউস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে এক ট্যাঙ্ক জল কিনতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তার জন্য আবার অপেক্ষা করতে হচ্ছে এক মাস।