দেশজুড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দায়ী কি সেই এভারেস্ট সমান উচ্চতার মেঘ
মধ্যভারতের ওপর অবস্থিত এভারেস্ট সমান উচ্চতার উল্লম্ব মেঘই দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে গোটা দেশ। দেশের পূর্ব ও উত্তর- পূর্ব ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বন্যায়। সেখানে এখনও বন্যার জল নামেনি। এরইমধ্যে ফের বানভাসি হল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। অবশ্য আগেই একদিকে চণ্ডীগড় অপরদিকে বেঙ্গালুরু প্লাবিত হয়েছে। দেশজুড়ে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পেছনে কী তাহলে সেই মধ্যভারতের ওপর এভারেস্ট সমান উচ্চতার বজ্রগর্ভ মেঘ ?
[আরও পড়ুন:বিকেলে বৃষ্টি বিপর্যস্ত মুম্বইয়ে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, সতর্কতা মুম্বই পুলিশের]
নাসার ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল অসম ও উত্তরবঙ্গে বন্যা। মৌসম ভবনও জানিয়ে দিয়েছিল দেশজুড়েই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও অবশ্য অসম ও উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির অবনতিই হয়েছে। কিন্তু মৌসমভবনের আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যিই হল। দেশের পূর্ব ও পশ্চিম একেবারেই ডুবে গেল।
পূর্ব ভারতের অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার যেমন ডুবল বন্যার জলে, তেমনই পশ্চিমে প্রথমে ভেসে গেল গুজরাট, তারপর এবার পালা মুম্বইয়ের। ৪৮ ঘণ্টা ধরে অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরীর জনজীবন। ফিরে এল সেই ২০০৫ সালের ভয়াবহ স্মৃতি।
অবশ্য এরইমধ্যে দক্ষিণের বেঙ্গালুরুও দিন দুয়েকের জন্য ভেসে গিয়েছিল। তাও আবার মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতে। অপরদিকে মাত্র চার ঘণ্টার বৃষ্টিতেই বানভাসি হয়েছিল উত্তরের চণ্ডীগড়। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও প্রায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। অবশ্য বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ।
মধ্যভারতের ওপর অবস্থিত এভারেস্ট সমান উচ্চতার উল্লম্ব মেঘই এই ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এই মেঘ এতটাই গভীর যে এর প্রকোপ কাটতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই এল নিনোর প্রভাব কেটে যাওয়ায় এবছর স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে বলে বর্ষার অনেক আগেই জানিয়েছিলেন আবহবিদেরা। তারওপর এই পাহাড়প্রমাণ মেঘ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। দেশবাসীর জন্য আরও কতটা দুর্যোগ অপেক্ষা করছে তা একমাত্র প্রকৃতিই জানে।