দাউদাউ করে জ্বলছে শতাধিক বাড়ি, ১২টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড গুয়াহাটিতে
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে দাউদাউ করে জ্বলছে বাড়ি। গুয়াহাটির ফাটাসিল আম্বারিতে ১০০টিরও বেশি বাড়িয়ে আগুন লেগে যায়। ১২টি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে দাউদাউ করে জ্বলছে বাড়ি। গুয়াহাটির ফাটাসিল আম্বারিতে ১০০টিরও বেশি বাড়িয়ে আগুন লেগে যায়। ১২টি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এটিকে সাম্প্রতির সময়ের সবথেকে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শতাধিক বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কামাখ্যা রাম বড়ুয়া কলেজের পিছনে একটি বস্তি এলাকায় আগুন লাগে। সেই আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন বাড়িতে। এক এক করে সমস্ত বাড়িতে আগুনের কোপে পড়ে। এরই মধ্যে একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে শুরু করে। মোট ১২টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়রাই জানান, মোট ১২ বার বিস্ফোরণের শব্দ মিলেছে।
আগুন লাগার পরই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। দমকল এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুনের মাত্রা সাংঘাতিক রূপ নেয়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সমগ্র বস্তি এলাকায়। তবে সন্ধ্যার মুখেই ঘটনাটি ঘটায় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এদিকে দমকল আগুন নেভাতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কারণ এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকল ঢোকানো এবং জলের জোগান পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয়রাই এই আগুন নেভাতে হাত লাগান। স্থানীয় ও দমকলকর্মীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে, তা মুহূর্তে গ্রাস করে নেয় এলাকা।
এই আগুন কী থেকে লাগল, তা জানার চেষ্ঠা চালা্চ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এবং দমকলও তা খতিয়ে দেখবে। তবে অগ্রাধিকার অবশ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। সেই কাজই করে চলেছেন দমকলকর্মীরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকাররে তরফে জানানো হয়েছে এটি সাম্প্রতিককালের সবথেকে বিধ্বংসী আগুন।
এদিকে এই আগুনের পিছনে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একপক্ষ থেকে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠছে। পুলিশ প্রশাসন এই মর্মে তদন্ত করে দেখছে। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আশ্রয়হীনদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। তাঁরা যাতে সমস্ত সহায়তা পায় তা দেখা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে পারে বিষয়টি। সেইসঙ্গে ঘরহারানো দুর্গতদের ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে সরকারের তরফে।