গুজরাতে গড়বা ইভেন্টে ধুন্ধুমার, দুই গোষ্ঠীর খণ্ডযুদ্ধ-পাথর ছোড়ার অভিযোগ
গুজরাতে গড়বা ইভেন্টে ধুন্ধুমার, দুই গোষ্ঠীর খণ্ডযুদ্ধ-পাথর ছোড়ার অভিযোগ
দীপাবলি শেষ হলেই গুজরাতে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। এদিকে তার আগে নবরাত্রির উৎসবের মধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠেছে গুজরাত। নবরাত্রি আজ শেষ হচ্ছে। কিন্তু গত ৯ দিন ধরে গুজরাতের একাধিক জায়গায় গড়বার অনুষ্ঠানে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভদোদরা, সুরাট, খেদিয়া সহ একাধিক জায়গায় গড়বার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হিন্দ-মসলম দ গোষ্ঠর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
গড়বা ইভেন্টে মুসলিম বাউন্সারদের নিয়োগ করা নিয়ে অশান্তর ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬০ জন মুসলিম বাউন্সার নিয়োগ করা হয়েছিল সুরাতের গড়বা ইভেন্টে । এই নিয়ে প্রবল অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একাধিক জন আহত হয়েছেন এ ঘটনায়। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
সুরাটের ঠাকুরজি গড়বা অনুষ্ঠানে বজরং দলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাঁরা অভিযোগ করেছে মুসলিম কাউকে যেন গড়বার অনুষ্ঠানে বাউন্সার হসেবে নিয়োগ না করা হয়। সেকারণে আগে থেকেই এই নিয়ে আয়োজকদের সতর্ক করেছিল তারা। কিন্ত আয়োজকরা সেটা মানতে রাজি হয়নি। ফের মুসলম বাউন্সার নিয়োগ করা হয়। এই নিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে বজরং দলের কর্মী সমর্থকরা। তাই নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে ব্যপক উত্তেজনা তৈর হয়। বজরং দলের কর্মী সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত বাউন্সারদের নাম জজ্ঞাসা করতে শুরু করেন।
ভদোদরায় আরেকটি অনুষ্ঠানে অশান্তর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মন্দিরের কাছে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের িনজেদের ধর্ময় অনুষ্ঠানের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মন্দিরের কাছে ল্যাম্পপোস্টে পতাকা লাগানোয় ধর্ময় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
গজরাতের খেদিয়ায় একটি গড়বা ইভেন্টে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৬জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। গড়বা ইভেন্টের কাছে ছিল মন্দির এবং মসজিদ। সেখানে দ সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।