৩ বছর বয়সে বিয়ে, ভাঙল ১৭ বছর বয়সে, কোথায় ঘটল এমন আজব ঘটনা
মাত্র তিন বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীর (নাম পরিবর্তিত)। আর তা ভাঙল তাঁর যখন ১৭ বছর বয়স তখন। মোট ১৪ বছর বাদে। এবং দুটো কাণ্ডই হল নাবালক বয়সে। জয়পুরের আদালত এই বিবাহ বিচ্ছেদে সায় দিয়েছে দু'পক্ষের কথায়।
মাত্র তিন বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীর (নাম পরিবর্তিত)। আর তা ভাঙল তাঁর যখন ১৭ বছর বয়স তখন। মোট ১৪ বছর বাদে। এবং দুটো কাণ্ডই হল নাবালক বয়সে। জয়পুরের আদালত এই বিবাহ বিচ্ছেদে সায় দিয়েছে দু'পক্ষের সম্মতি পাওয়ার পরই।
২০০৩ সালে লক্ষ্মীর বিয়ে হয় ১১ বছর বয়সী তাঁরই গোত্রের একটি বালকের সঙ্গে। যদিও এতদিন সে নিজের বাপের বাড়িতেই থাকত। তবে লক্ষ্মীর বাবার মৃত্যুর পরই লক্ষ্মীকে নিয়ে যেতে তার মা-কে চাপ দেয় বরপক্ষ।
এই ঘটনা এবছরের জুন মাসে। তবে শ্বশুর বাড়িতে যেতে রাজি না হয়ে সারথী ট্রাস্ট নামে একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন জানায় লক্ষ্মী।
স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার তরফে কৃতী ভারতী জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর কথা শুনে বরপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না। তবে পরে বুঝিয়ে রাজি করানো গিয়েছে। দুইজনের সম্মতিতেই বৃহস্পতিবার আদালতে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।
লক্ষ্মীর মা লিখতে-পড়তে পারেন না। তাঁর নাম ধাপু দেবী। তিনিই লক্ষ্মীকে মানুষ করেছেন। এই ঘটনার পরে তিনি জানিয়েছেন, মেয়েকে পড়াবেন। ও যতদিন সে না চায়, বিয়ে দেবেন না।
কাউন্সেলিং করানোর পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা গিয়েছে দুই পরিবারের মধ্যে। তারপরই ছেলেটি, যার বয়স এখন ২৫ বছর, তিনি বিষয়টি আইন বিরুদ্ধে জানতে পেরে বিয়ে ভাঙতে রাজি হয়েছেন।