বিয়ে মানেই মহিলাদের সর্বদা যৌন সঙ্গমে রাজি হতে হবে এমন নয়, পর্যবেক্ষণ উচ্চ আদালতের
বিয়ে হওয়া মানেই স্বামীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমে সবসময় রাজি হতে হবে, এমন নয়। ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন।
বিয়ে হওয়া মানেই স্বামীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমে সবসময় রাজি হতে হবে, এমন নয়। ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ধর্ষণের মতো ঘটনায় সর্বদা শারীরিক শক্তিই বিচার্য হবে এমন নয়।
দিল্লি হাইকোর্টের অস্থায়ী মুখ্য বিচারপতি গীতা মিত্তল ও সি হরি শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিয়ের মতো সম্পর্কে, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে দুই পক্ষের জন্যই না বলার অধিকার থাকা উচিত। বিবাহিত জীবনে ধর্ষণ সংক্রান্ত এক মামলায় এই পর্যবেক্ষণের কথা আদালত জানিয়েছে।
উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিয়ে মানেই মহিলাদের সবসময় যৌন সঙ্গমে রাজি থাকতে হবে। পুরুষদেরও মহিলাদের বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। আর ধর্ষণ মানেই সবসময় বলপূর্বক আহত করে শারীরিক অত্যাচার করলেই তা অপরাধ বলে গ্রাহ্য হবে তা নয়। ধর্ষণের সংজ্ঞা আলাদা।
প্রসঙ্গত, বিবাহিত জীবনে ধর্ষণকে অপরাধ বলে মান্যতা দেওয়ার বিপক্ষে কেন্দ্র। আদালতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের মতো অপরাধকে ঢোকানো হলে বিয়ের মতো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবনাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলা হবে। যার বিপরীত ফল হিসাবে সর্বদা স্বামীকেই আতঙ্কের প্রহর গুনতে হবে। যা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহজ হবে না।